লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট ফাহাম আব্দুস সালাম (Fahm Abdus Salam) বলেছেন, “আগামী ৫/১০ বছর আমাদেরকে আওয়ামী লীগের (Awami League) কাফফারা দিতে হবে।” দেশের রাজনৈতিক কাঠামো, নেতাদের ব্যর্থতা এবং তরুণদের হতাশা নিয়ে ২২ মে তারিখে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন তিনি।
“সবাইকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে”
ফাহাম বলেন, “বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি অনুরোধ—বিশেষ করে বিএনপি ও ন্যাশনাল কনসালিডেশন পার্টি (এনসিপি) (National Consolidation Party)—একজন আরেকজনকে পদত্যাগে বাধ্য করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন।” তিনি যোগ করেন, “আমাদের সব ইনস্টিটিউশন ভেঙে পড়েছে। পারফর্মেন্স খুব একটা ভালো না।”
“ইউনূস সাহেবকে corner করা ঠিক হবে না”
ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus)–কে ঘিরে সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, “ইউনূস সাহেব একজন সম্ভ্রান্ত মানুষ। সব কর্মকাণ্ড আমাদের পছন্দ হবে না, কিন্তু আস্থা রাখতে হবে। তাঁকে কোণঠাসা করলে কারো লাভ হবে না।”
“আমাদের নতুন প্রজন্ম রাজনৈতিক পরিপক্বতা অর্জন করেনি”
ফাহাম লেখেন, “আমরা একটা নতুন জাতি। সিনিয়রদের ম্যাচুরিটি দেখাতে হবে। সবকিছু মেনে নিতে শিখতে হবে। সিভিলাইজড ওয়েতে সমস্যা সমাধান করতে শিখতে হবে।”
“সবাই পদত্যাগ করলে সমস্যা বাড়বে”
পদত্যাগ প্রবণতার বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, “সবাই পদত্যাগ করলে সমস্যা কমবে না, বরং আরও বাড়বে। এই সরকারকে ফেইল করতে দেয়া যাবে না। নিজেদের মধ্যে কথা বলুন।”
তরুণদের হতাশা নিয়ে উদ্বেগ
ভোট ও গণতন্ত্র নিয়ে তরুণদের মধ্যে যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফাহাম। তিনি বলেন, “নির্বাচন হবেই, কেউ না কেউ নির্বাচিত হবেই। কিন্তু তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—আমাদের তরুণরা যেন সিস্টেম থেকে আস্থা হারিয়ে না ফেলে।”
“৫ই অগাস্ট থেকে আমাদের বড় যাত্রা শুরু হয়েছে”
শেষে তিনি সবাইকে ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বান জানিয়ে লেখেন, “ভুলে যাবেন না, ৫ই অগাস্টের পর আমাদের নিজেদের একটা পার্সোনাল জার্নিও শুরু হয়েছে—এটাই বড় জার্নি।”