রিজওয়ানা হাসান (Rizwana Hasan), বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, বলেছেন যে, প্রধান উপদেষ্টা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন—আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুন মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে এবং এই সময়সীমার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, “এই নির্ধারিত সময়ের একদিনও এদিক-সেদিক হওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের নেই।”
ইউনূসের পদত্যাগ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া
ড. ইউনূস (Professor Yunus)ের পদত্যাগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান জানান, “এখন কিছু কিছু গুরু দায়িত্ব আছে, যেগুলোর সময়সাপেক্ষতা থাকতে পারে। নির্বাচনের ক্ষেত্রেও যেমন আমি বলেছি, দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও বলছি—এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে আপনাদের উনার (প্রধান উপদেষ্টা) কাছ থেকেই শুনতে হবে।”
তিনি বলেন, সরকারের ওপর একমাত্র চাপ হচ্ছে—“আমরা পারফর্ম করতে পারছি কিনা, সেটা আমাদের বিবেচনায় সবচেয়ে বড় চাপ।” পাশাপাশি তিনি উদাহরণ দেন, কিভাবে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে মিটিংয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, যার ফলে ঢাকার মতো শহরে অচলাবস্থা তৈরি হচ্ছে।
বড় দায়িত্ব ও সরকারিক চ্যালেঞ্জ
রিজওয়ানা হাসান জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে তিনটি বড় দায়িত্ব রয়েছে—সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। এই তিনটি দায়িত্ব পালনে সরকার চরম চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “শুধু নির্বাচন নয়, আরও দুটি গুরুতর দায়িত্ব রয়েছে—যেগুলো আমরা আদৌ পালন করতে পারছি কিনা, সেটাই বড় প্রশ্ন।”
তিনি জানান, সাম্প্রতিক মিটিংয়ের পর দীর্ঘ আলোচনায় বসেছিলেন তারা। কারণ, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন দাবিতে মানুষ রাস্তায় বসে পড়ছে, রাস্তাঘাট বন্ধ করছে, ফলে শহরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার কী করতে পারছে—সেটাই ছিল মূল আলোচনার বিষয়।
এনাবলিং এনভায়রনমেন্টের প্রয়োজনীয়তা
তিনি আরও বলেন, “দায়িত্ব পালন শুধু প্রত্যাশার বিষয় নয়, এর জন্য দরকার উপযুক্ত পরিবেশ—‘এনাবলিং এনভায়রনমেন্ট’। প্রত্যাশা থাকতেই পারে, কিন্তু সেটি পূরণ করতে গেলে পরিবেশ থাকতে হবে।”
সবশেষে রিজওয়ানা হাসান জানান, “আমরা চিন্তা করছি, আমরা আদৌ পারছি কিনা। এই বড় দায়িত্বগুলো পালনের পথে যেসব প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে, সেগুলো মোকাবেলা করতে পারলে কিভাবে করব; আর না পারলে আমাদের করণীয় কী হবে—এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমরা খুঁজছি।”