কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার (Farhad Mazhar) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে উল্লেখ করেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus) পদত্যাগ করতে চাইছেন—এটি একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হতে পারে। তাঁর মতে, ড. ইউনূসকে নির্বাচনের মাধ্যমে নয়, বরং “রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থনের মাধ্যমে” বাংলাদেশের জনগণ নেতৃত্বে এনেছে।
ফরহাদ মজহার বলেন, “ড. ইউনূসের দায়িত্ব হবে খুনিদের বিচার নিশ্চিত করা, একটি নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা এবং বৈশ্বিক কর্পোরেট দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে গণবান্ধব ও বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা বাস্তবায়ন করা।”
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মতো ভূরাজনৈতিক সংকটে থাকা রাষ্ট্রে, একটি আত্মবিশ্বাসী ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী (Army) গঠন করা আবশ্যক, যা রোহিঙ্গা (Rohingya) পুনর্বাসনের মতো কঠিন দায়িত্ব নিতে পারবে এবং মায়ানমার (Myanmar) ও ভারতের (India) মতো রাষ্ট্রের হুমকির মুখে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে।
তিনি মনে করেন, “সেনাবাহিনী জনগণের অংশ এবং তাদের স্বার্থও জনগণের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।”
ফরহাদ মজহার বলেন, “নির্বাচন অবশ্যই আয়োজন করতে হবে, তবে সেনাপ্রধান (Army Chief) তাঁর এখতিয়ার ছাড়িয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা লুটেরা ও মাফিয়া শ্রেণীকে পুনর্বাসনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।” তিনি সতর্ক করে বলেন, “এতে দেশ গৃহযুদ্ধের ঝুঁকিতে পড়তে পারে এবং ভিনদেশি শক্তির দখলদারিত্বের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যার দায়ভার নিতে হবে সেনাপ্রধানকেই।”
শেষে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান, যেন সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করে দেশের স্বার্থ এবং গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে রক্ষা করেন।