গণসংহতি আন্দোলন (Ganosamhati Andolon)–এর প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি (Jonaed Saki) বলেছেন, “রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য দেশে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের বিচার, কাঙ্ক্ষিত সংস্কার এবং নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ একসাথে করতে হবে।”
শুক্রবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাব (National Press Club)ের সামনে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি (Bangladesh Garment Workers Solidarity) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এই সমাবেশে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে: শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন, গণঅভ্যুত্থানের অর্জন রক্ষা, ছাঁটাই ও টার্মিনেশন বন্ধ, টিএনজেডসহ সকল কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ, যৌন হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ, ও মাতৃত্বকালীন ৬ মাসের স্ববেতন ছুটি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, “শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জীবনবাজি রেখে লড়াই করার ইতিহাসকে সম্মান জানাতে হলে শুধু শ্রমিক অধিকার নয়—গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথেও লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য শ্রমিক শ্রেণির ভূমিকা অপরিহার্য।”
তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, মর্যাদাপূর্ণ মজুরি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। শ্রম সংস্কার কমিশনের যেসব সুপারিশে সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য রয়েছে, তা দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপতি ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তাসলিমা আখতার (Taslima Akhter)। আরও বক্তব্য রাখেন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ (Syed Sultan Uddin Ahmed), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (Jahangirnagar University)র অধ্যাপক হাসান আশরাফ (Hasan Ashraf), নারী সংহতির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিতা দেব (Aparajita Dev), অঞ্জন দাস, নুরুল ইসলাম, মিজানুর রহীম চৌধুরী, সত্যজিত বিশ্বাস, ছাত্র ফেডারেশন (Student Federation)র সৈকত আরিফ ও ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের আলিফ দেওয়ান।
সমাবেশ শেষে একটি র্যালি পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।