“অনেকেই আমাদের অথর্ব বলেন, এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়”—অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ (Dr. Salehuddin Ahmed) জানিয়েছেন, ‘অনেকেই আমাদের সমালোচনা করেন, অথর্ব বলেন। সমালোচনা করবেন, ঠিক আছে। তবে বাইরে এসব ভালো ইম্প্রেশন দেয় না। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।’

শুক্রবার (২৩ মে) সকালে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ (Dhaka Residential Model College) প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইকোনমিকস অলিম্পিয়াড ২০২৫ (Bangladesh Economics Olympiad 2025)–এর জাতীয় পর্যায়ের মূল পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আসন্ন বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক করছাড়ের প্রস্তাব আসছে। বাজেটের পরদিন এসব নিয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তবে সাধারণ মানুষের চাহিদা ও সামাজিক পছন্দ নির্ধারণ সহজ কাজ না। আইএমএফ যা চেয়েছিল, আমরা তা পুরোপুরি চাপিয়ে দিইনি। একটি সমাধানে পৌঁছেছি।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান (Hossain Zillur Rahman)।

প্রধান অতিথি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) (Center for Policy Dialogue – CPD)–এর নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন (Fahmida Khatun), সিটি ব্যাংকের (City Bank) এমডি মাসরুর আরেফিন (Mashrur Arefin), ঢাকা ব্যাংকের (Dhaka Bank) এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ (Sheikh Mohammad Maruf), এবং পূবালী ব্যাংকের (Pubali Bank) এমডি মোহাম্মদ আলী (Mohammad Ali)।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, “প্রতি দশকে আমাদের ১% করে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও বৈষম্যও বেড়েছে। কর্মসংস্থান তৈরি হয়নি, তরুণ বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে, মূল্যস্ফীতি চরমে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে একমুখী অর্থনীতিতে সমাজ পিছিয়ে পড়ছে।”

মূল প্রবন্ধে মাসরুর আরেফিন বলেন, “গত ৯ মাসে বড় অর্জন না হলেও অনিয়ম ও টাকা পাচার অনেকটাই রোধ করা গেছে, এটি বিশাল অগ্রগতি। তবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে।”

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “অর্থনীতি একটি প্রায়োগিক বিজ্ঞান। তাই স্কুল–কলেজে অর্থনীতিকে জনপ্রিয় করতে এই অলিম্পিয়াড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ বছর অংশ নিয়েছে ২০ হাজার শিক্ষার্থী। তাদের মধ্য থেকে ৫ জন আজারবাইজানে আন্তর্জাতিক ইকোনমিক অলিম্পিয়াডে অংশ নেবে।”

এই পাঁচ বিজয়ীকে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ উপহার দেওয়া হয়।