ফরিদপুর (Faridpur)–এর সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ (Awami League)–এর জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্না হাসান (Jharna Hasan)–এর বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি দখল এবং মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভারতীয় নাগরিককে দিয়ে নামজারির চেষ্টা
অভিযোগে বলা হয়, ঝর্না হাসান এক ভারতীয় নাগরিক বীরেশ চন্দ্র চক্রবর্তী (Bireesh Chandra Chakraborty)–কে বাংলাদেশের নাগরিক সাজিয়ে অর্পিত সম্পত্তি নিজের নামে নামজারির চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে ফরিদপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত–এ মামলা করা হয়েছে।
বাদীদের দাবি ও আদালতের স্থগিতাদেশ আবেদন
বাদী অচিন্ত কুমার চক্রবর্তী ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা ৫৪ বছর ধরে অর্পিত সম্পত্তিতে বৈধভাবে বসবাস করছেন এবং সরকারিভাবে লিজপ্রাপ্ত। এ জমি বীরেশের নামে বিক্রি করে দেওয়ার আশঙ্কায় আদালতে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে। তবে আদালত এখনো কোনো নির্দেশ দেয়নি।
অতীত ইতিহাস ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা
২০০০ সালে তৎকালীন পৌরসভা চেয়ারম্যান হাসিবুল হাসান লাভলু জমিটি নিজের নামে রেকর্ড করান। তার মৃত্যুর পর স্ত্রী ঝর্না হাসান জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ছাত্রলীগ দিয়ে আন্দোলনের সময় নির্যাতন চালান এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের ব্যবহার করেন।
দুর্নীতি ও প্রশাসনের ভূমিকা
এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিকুল ইসলাম ঘুষের বিনিময়ে জমি নামজারির ব্যবস্থা করেছেন। এতে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কবির আহমেদের নামও জড়িয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত
২০১৫ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) (ACC) জমি নিয়ে তদন্ত করে জানায়, এটি ভুয়া ওয়ারিশের মাধ্যমে নামজারি করা হয়েছে এবং রেকর্ড অবৈধ।