রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও আমেরিকান পাবলিক ইউনিভার্সিটি সিস্টেম (American Public University System)–এর ফ্যাকাল্টি সদস্য সাঈদ ইফতেখার আহমেদ (Saeed Iftekhar Ahmed) বলেছেন, বিএনপি প্রথম থেকেই ভুলভাবে অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে দেখেছে, যার কাজ শুধুমাত্র নির্বাচন আয়োজন। কিন্তু বর্তমান সরকার আসলে গণঅভ্যুত্থনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারীদের প্রতিনিধিত্ব করছে, যা একেবারেই ভিন্ন চরিত্রের।
সরকার ও ইসলামবাদীদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা
তিনি বলেন, ইসলামপন্থী দলগুলো এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) (National Citizens’ Party – NCP) এই সরকারকে তাদের নিজস্ব বলে মনে করছে এবং তাদের আচরণেও সেটি স্পষ্ট। ইসলামবাদীদের মতে, তারা বর্তমানে যত স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে পারছে, তা আগে কখনো সম্ভব হয়নি।
নির্বাচন বিলম্বের পেছনে রাজনৈতিক কৌশল
সাঈদ ইফতেখার মনে করেন, এই দলগুলো নির্বাচন বিলম্বিত করার পক্ষে, কারণ এতে তারা রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবে বলে বিশ্বাস করে। এর বিপরীতে বিএনপি (BNP) এবং সিপিবি (CPB) ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাইছে এবং সরকারের প্রতি সন্দিহান।
সেনাবাহিনীর অবস্থান ও দূরত্ব
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর মধ্যেও সরকারের প্রতি দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে সেনাপ্রধান অপসারণ প্রচেষ্টা, মানবিক করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর (Chittagong Port) বিদেশি কোম্পানিকে লিজ দেওয়ার ইস্যুতে সেনাবাহিনী বিরূপ মনোভাব দেখিয়েছে।
জাতীয় সংকটের আশঙ্কা
সাঈদ ইফতেখার বলেন, যেকোনো সরকার টিকে থাকতে হলে বড় রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সমর্থন দরকার। যদি বিএনপি ও সেনাবাহিনী উভয়ের সহযোগিতা হারায় সরকার, তাহলে তা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
জাতীয় গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আহ্বান
তাঁর মতে, এই সংকটের সমাধান একটাই—তাড়াতাড়ি একটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা।