ব্যবসায়ী ও অভিনেতা অনন্ত জলিল (Ananta Jalil) বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপে বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত পড়েছে গভীর সংকটে। তিনি বলেন, “এটা কোনো রাজনৈতিক সমস্যা নয়, এটি আন্তর্জাতিক বাজারের সৃষ্ট সমস্যা।”
যুদ্ধের প্রভাব ও খরচের বোঝা
অনন্ত জলিল বলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই টাকা-পয়সার সমস্যা শুরু। আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, যার সরাসরি প্রভাব আমাদের গার্মেন্টস খাতে।”
তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ৫৪% থেকে বেড়ে ৬০% পর্যন্ত হয়েছে এবং একই সময় গ্যাসের দাম ইউনিটপ্রতি ১২ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৩২ টাকা ৫০ পয়সা। তিনি বলেন, “সরকার ওয়ার্কারদের পক্ষে ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু মালিকেরা যে এই অতিরিক্ত খরচ কীভাবে মেটাবে, সেই প্রশ্নে কেউ কিছু বলে না।”
অতিরিক্ত নজরদারি, কম দামে পণ্য
অনন্ত জলিল জানান, “বাংলাদেশে ৩৯টি সংস্থা নিয়মিত অঘোষিত অডিট করে গার্মেন্টস খাতে। তারা দেখে বেতন ৭ দিনের মধ্যে দেওয়া হয়েছে কি না, ৫% ইনক্রিমেন্ট হয়েছে কি না, সব সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে কি না। কিন্তু মালিকের দিকটা কেউ দেখছে না।”
তিনি বলেন, “প্যান্ডেমিক থেকে এখন পর্যন্ত গার্মেন্টস পণ্যের দাম গড়ে ৩০% কমে গেছে, অথচ শ্রমিকদের বেতন বেড়েছে প্রায় ৭০%। তাহলে মালিকেরা এই সমন্বয় কোথা থেকে করবে?”
সমন্বয়ের জন্য বোর্ডের প্রয়োজন
অনন্ত জলিল দাবি করেন, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি ভারসাম্য রক্ষা বোর্ড গঠন করা জরুরি, যা বিজিএমইএ (BGMEA)–এর মধ্যেও নেই। “মালিক-শ্রমিক উভয়ের স্বার্থ রক্ষার জন্য এখন নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে উদ্যোগ নেওয়া দরকার”—বলেছেন তিনি।