শনিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি (BNP), জামায়াতে ইসলামী (Jamaat-e-Islami) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizen Party – NCP)’র নেতারা। এই বৈঠকের প্রেক্ষাপটে রোববার রাজধানীর টোপখানা রোড (Topkhana Road)স্থ বিএমএ মিলনায়তন (BMA Auditorium)-এ “আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ঐক্যভাবনা” শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামপন্থীদের ঐক্যের আহ্বান
আয়োজক ছিল জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ (Jatiyo Olama Mashayekh Aima Parishad)। এতে দেশের প্রায় সব ইসলামী দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। বক্তারা বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আলেম সমাজ সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছে এবং সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকারও হয়েছে।”
তাদের মতে, শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের আমলে সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী ছিলেন আলেমরা। তারা বলেন, “এবার আমরা চাই একটি ভোটের বাক্সে ইসলামপন্থীরা ঐক্যবদ্ধ হোক।”
জাতীয় কল্যাণের লক্ষ্যে ঐক্য প্রয়োজন
বক্তারা আরও বলেন, “আমাদের অসংখ্য হাফেজ-আলেমের রক্তের দিকে তাকিয়ে ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার রাজনীতি নয়, বরং একটি বৃহৎ জাতীয় ঐক্য গঠনের সময় এসেছে। এখনই সুযোগ ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্রের পথে অগ্রসর হওয়ার।”
তারা বলেন, “১৯৭১ সালের পর এই প্রথম ইসলামী শক্তির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ইসলামপন্থীদের চাইতে দেশপ্রেমিক আর কেউ নেই।”
প্রশাসন থেকে দলীয় দোসরমুক্তির দাবি
বক্তারা দাবি করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে হলে প্রশাসনকে ‘আওয়ামী দোসরমুক্ত’ করতে হবে। তাদের ভাষায়, “অপরাধীরা ইসলামী শাসনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, কারণ তারা জানে—ইসলামপন্থীরা একজোট হলে তাদের শেষ সময় ঘনিয়ে আসবে।”
তারা বলেন, “ইসলামী ঐক্যের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নেয়, তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে।”