তারেক রহমানের নেতৃত্বে ৩১ দফার ভিত্তিতে প্রায় ৬০ দলকে ঐক্যবদ্ধ করেছি: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

বিএনপি (BNP)র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (Gayeshwar Chandra Roy) বলেছেন, “তারেক রহমান (Tarek Rahman)এর নেতৃত্বে ৩১ দফার ভিত্তিতে প্রায় ৬০টি দলকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা ফ্যাসিবাদকে প্রতিহত করতে পেরেছি। তবে এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি, তা এখনো আমাদের নাগালের বাইরে।”

দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের স্মৃতি

তিনি বলেন, “গত ১৭ বছরে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম, খুন, নির্যাতন, মামলা ও আত্মত্যাগের শিকার হয়েছেন। তাদের এই ত্যাগ জনগণের ভোটাধিকার ও একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে হয়েছে।”

নেতৃত্বের ওপর নির্যাতন ও রাজনৈতিক সহিংসতা

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, “আমাদের নেতৃত্বের ওপর নানা রকম জুলুম হয়েছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রাণনাশের চেষ্টাও চালানো হয়েছে। অপবাদ ও হয়রানির মধ্যেও তিনি মনোবল হারাননি এবং এখনও দেশের পক্ষে লড়তে প্রস্তুত।”

তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার ত্যাগ

তিনি বলেন, “তারেক রহমান গত ১৭ বছর ধরে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকলেও, দেশে খালেদা জিয়া (Khaleda Zia) গত ছয় বছর কারাবন্দি ছিলেন। এ সময়ের মধ্যেই তারেক রহমান কেবল বিএনপিকেই নয়, গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।”

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাথেও একাত্মতা

গয়েশ্বর রায় বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যেসব ছাত্র সাধারণ পরিচয়ে রাস্তায় নেমেছিল, তাদের বৈষম্যবিরোধী আট দফা আন্দোলনকে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। আমাদের অনেক নেতা-কর্মী ছদ্মবেশে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। রাজপথে সাধারণ জনগণ ও ছাত্রসমাজ একাকার হয়ে গিয়েছিল।”

ভোটাধিকারই চূড়ান্ত লক্ষ্য

তিনি বলেন, “এই সম্মিলিত লড়াইয়ের ফসল যদি জনগণ না পায়, ভোটাধিকার যদি প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে সেটি হবে আমাদের বড় ব্যর্থতা। জনগণই এই দেশের মালিক, সকল ক্ষমতার উৎস জনগণের—এই নীতিকে প্রতিষ্ঠিত করাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য।”