জি এম কাদের ও চুন্নুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে পিবিআইকে নির্দেশ

জাতীয় পার্টি (Jatiya Party) চেয়ারম্যান জি এম কাদের (GM Quader), তার স্ত্রী শেরিফা কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু (Mujibul Haque Chunnu)সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে পিবিআইকে (PBI)।

সোমবার (২৬ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া (Dhaka Metropolitan Magistrate Masum Mia) এ আদেশ দেন। মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদ হাসান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

মনোনয়ন বাণিজ্য ও ডাকাতির অভিযোগ

মামলাটি দায়ের করেন জাতীয় পার্টির সাবেক সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী নাজমিন সুলতানা তুলি (Nazmin Sultana Tuli)। ১৮ মে তিনি আদালতে মামলার আবেদন করেন এবং আদালত ২৬ মে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, জি এম কাদেরের প্রত্যক্ষ মদদে অন্য আসামিরা ২০২৪ সালের ‘ডামি নির্বাচনে’ মনোনয়ন বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন।

বাদীর দাবি, তাকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে মেসেজ পাঠানো হয়। তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এর প্রতিবাদ করলে দলের ভেতরে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল বৃদ্ধি পায়।

পুলিশ কর্মকর্তাদের সহায়তায় লুটপাটের অভিযোগ

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক কর্মকর্তার সহায়তায় এবং অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনের একটি দল বাদীর বাসায় হামলা চালায়। তারা দরজা ভেঙে ঢুকে আসবাবপত্র, সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, মোবাইল, ল্যাপটপসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

প্রাণনাশের হুমকি

বাদী নাজমিন সুলতানা তুলি বলেন, ঘটনার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

মামলার আসামির তালিকা

অন্য আসামিরা হলেন— জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া (Rezaul Islam Bhuiyan), ডিবি পুলিশের (DB Police) সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ (Harun Or Rashid), জাপার কেন্দ্রীয় সদস্য নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, উত্তরা গোয়েন্দা বিভাগ (Uttara Detective Branch) এর সাবেক ডিসি আকরাম, সাবেক এডিসি নাজমুল, বিমানবন্দর জোনাল টিম (Airport Zonal Team) এর এসআই পবিত্র সরকার এবং জাপার ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সাইদুল ইসলাম।