ড. ইউনূসকে ব্যঙ্গ করে বিতর্কে ময়ূখ রঞ্জন, নেটিজেনদের তীব্র প্রতিক্রিয়া

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাবিত রাষ্ট্রপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)-কে নিয়ে ব্যঙ্গ করে বিতর্কে জড়িয়েছেন ভারতের বিতর্কিত সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ (Mayukh Ranjan Ghosh)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে তিনি ড. ইউনূসের পদত্যাগ প্রসঙ্গকে ঘিরে ব্যঙ্গাত্মক অঙ্গভঙ্গি ও মন্তব্য করেন, যা নিয়ে দুই দেশের নাগরিকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

“পদত্যাগ করতে হলে এখনই করুন!”— ব্যঙ্গ ময়ূখের

ভিডিওতে ময়ূখ বলেন, “আমি কিন্তু শনিবার পদত্যাগ করবো… না না না, প্লিজ করবেন না! আমি কিন্তু রবিবার করবো… না না করবেন না! আরে যদি করবেন, এখনই করুন না!” এরপর তিনি আরেকটি কৌতুকমিশ্রিত ভঙ্গিতে বলেন, “সাহেব যাবেন না, যাবেন না, এই আমি কিন্তু বেরিয়ে গেলাম… না না, প্লিজ যাবেন না!”

এই বক্তব্যে তিনি ড. ইউনূসের ভূমিকা ও অবস্থানকে ব্যঙ্গ করে উপহাস করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে কেন্দ্র করে রোষ

ময়ূখের বক্তব্যে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, তার ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)-র পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং ড. ইউনূসের সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতি হওয়া। অনেকের মতে, ময়ূখ তার বক্তব্যে সাংবাদিকতার ন্যূনতম শিষ্টাচার ও নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন।

ভারতের প্রতিক্রিয়াও নেতিবাচক

শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতেও এই ঘটনার বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রিপাবলিক বাংলা (Republic Bangla) টিভি অফিসের সামনে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়িয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার অপচেষ্টা করছেন।

তারা আরও বলেন, রিপাবলিক বাংলার প্রতিবেদনে একাধিকবার হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়কে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি ব্যক্তিগত মতামত, রাজনৈতিক পক্ষপাত এবং চিৎকার-চেঁচামেচির মাধ্যমে সাংবাদিকতার মূল ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

“মাজায় গামছা বেঁধে মাঠে নামা”— নেটিজেনদের মন্তব্য

অনেক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, “ময়ূখ যেন মাজায় গামছা বেঁধে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামেন!” তারা মনে করছেন, এটি কেবল কটাক্ষ নয়, বরং একটি বিদেশি শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশও হতে পারে।