বাংলাদেশ ব্যাংক (Bangladesh Bank) গভর্নর আহসান এইচ মনসুর (Ahsan H. Mansur) সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, দেশের ব্যাংকিং খাতের সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ছয়টি দুর্বল ও সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংককে একীভূত করে একটি নতুন ব্যাংক গঠন করা হবে। এই একীভূত ব্যাংকটি প্রথমে সরকারের মালিকানায় পরিচালিত হবে এবং পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের নিকট হস্তান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে।
জুলাইয়ের মধ্যেই একীভূতকরণ শেষের লক্ষ্য
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যেই আমরা এই একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাই।” এই সময়কালে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় তারল্য সহায়তা (লিকুইডিটি সাপোর্ট) প্রদান করবে এবং সরকার ব্যাংকটিকে মূলধন সহায়তা (ক্যাপিটাল ইনজেকশন) দেবে।
তিনি আরও জানান, নতুন গঠিত ব্যাংকটির নাম হবে ‘নিউ ব্যাংক’। প্রাথমিকভাবে এটি রাষ্ট্রের মালিকানায় থাকলেও এটি একটি অস্থায়ী পদক্ষেপ। কাঠামোগত সংস্কার শেষে ব্যাংকটি আন্তর্জাতিক স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টরদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
গ্রাহকদের সুরক্ষার আশ্বাস
গভর্নর আশ্বাস দেন, “আমরা নিশ্চিত করতে চাই প্রতিটি গ্রাহক তাদের টাকা ফেরত পাবেন। গ্রাহকদের কোনো ক্ষতি হবে না।” তিনি আরও বলেন, ব্যাংকটির মূলধন সক্ষমতা (Capital Adequacy) বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হবে এবং এটিকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্য রয়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আরও ব্যাংক
এই প্রক্রিয়া সফল হলে আগামীতে আরও দুর্বল ব্যাংকগুলোকেও একই কাঠামোর আওতায় আনা হবে। বর্তমানে এমন ১৮টি ব্যাংক চিহ্নিত করা হয়েছে যাদের আর্থিক ভিত্তি দুর্বল। গভর্নর বলেন, “প্রথম ধাপটি কঠিন হতে পারে, তিন মাসের মধ্যে রেজলিউশনের ধাক্কা সামলাতে হবে। তবে আমরা আশা করি তিন থেকে চার বছরের মধ্যে এই ব্যাংকটি লাভজনক অবস্থানে পৌঁছাবে।”