রাজধানীর ডেমরা (Demra) এলাকার সেবা হাসপাতাল (Seba Hospital)-এ অপারেশন চলাকালে এক জটিল গর্ভাবস্থার রোগীকে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার মুহূর্তে ওটিতে ঢুকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) (DB Police) গ্রেপ্তার করেছে চিকিৎসক ডা. ইমরান হোসেন (Dr. Imran Hossain)-কে। তিনি ছিলেন একাধিক হত্যা ও গণহত্যা মামলার আসামি। রোববার (২৫ মে) রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে ডিবি পুলিশের অভিযান
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (DMP Detective Branch) সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একটি দল, এডিসি বকুল হোসেনের (ADC Bokul Hossain) নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে। তারা নিশ্চিত হন যে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডেমরার সেবা হাসপাতালে অবস্থান করছেন। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ওটি-তে ঢুকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের সময় স্থানীয়রা বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে ডেমরা থানার (Demra Police Station) পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চিকিৎসার সময় অপারেশন থিয়েটারে গ্রেপ্তার
মাতুয়াইল মাতৃসদন ইনস্টিটিউটে (Matuail Maternity Institute) কর্মরত অ্যানেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. ইমরান সিজারিয়ান স্কার এক্টোপিক প্রেগনেন্সির জটিল এক রোগীর অ্যানেস্থেসিয়া দিচ্ছিলেন। ইনজেকশন দেওয়ার পর রোগী ছিলেন অচেতন। এই সময়েই গ্রেপ্তার করা হয় ইমরানকে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের বক্তব্য
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. আনিসুর রহমান (Dr. Anisur Rahman) বলেন, “ডা. ইমরান নিয়মিত ডাক্তার নন। তিনি অন কলে অ্যানেস্থেসিয়া দেন। তার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে হাসপাতাল অবগত ছিল না।”
ডেমরা থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান (Md. Mahmudur Rahman) বলেন, “ডিবি পুলিশের অনুরোধে আমরা সহায়তা করেছি।”
একাধিক মামলার আসামি ও রাজনৈতিক পরিচয়
ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডা. ইমরান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলার প্রধান আসামি। তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় (Jatrabari Police Station) গত ৫ আগস্ট গণহত্যা মামলা রয়েছে। তিনি ছিলেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (Faridpur Medical College Hospital) ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হিসেবেও পরিচিত।