সেনাবাহিনীর ডিসেম্বরে নির্বাচন চাওয়ার এখতিয়ার নেই: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizens’ Party – NCP) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী (Nasiruddin Patwary) বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার কথা বলার কোনো সাংবিধানিক এখতিয়ার সেনাবাহিনীর (Army) নেই। তিনি সেনাবাহিনীকে রাজনীতির বাইরে থাকার আহ্বান জানান।

“রাজনীতি নয়, পেশাদারিত্বে থাকুক সেনাবাহিনী”

মঙ্গলবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে (National Press Club) আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তর: মৌলিক সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

নাসীরুদ্দীন বলেন, “সেনাপ্রধান বলেছেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে—এ বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন। সেনাবাহিনীকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে রাখতে হবে। তারা সংবিধানের বাহিরে গিয়ে এমন কিছু বলতে পারে না।”

“নির্বাচন যেন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না হয়”

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, “আমাদের তিনটি ভিত্তিমূল—সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার। এগুলো উপেক্ষা করে নির্বাচন করা হলে তা হবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সঙ্গে গাদ্দারি।”

তিনি আরও বলেন, “গত ১৫ বছরে বাহিনী দ্বারা নানা মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। আজও এনবিআর (NBR), সচিবালয় (Secretariat) ও বন্দর (Port) ব্যবহৃত হচ্ছে দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে।”

“শেখ হাসিনার চেয়ে বড় স্বৈরাচার আসবে, যদি সিস্টেম না বদলায়”

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি এই সিস্টেম বদল না হয়, তবে শেখ হাসিনার চেয়েও বড় স্বৈরাচার বাংলাদেশের ভবিষ্যতে হাজির হবে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “শেখ হাসিনার তৈরি করা কালো আইনেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পাঁচজন সদস্যকে। এমনকি রিটার্নিং অফিসারদের ক্ষেত্রেও দলীয় সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বলে আমরা জানতে পারছি।”