বিএনপির (BNP) জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (Amir Khasru Mahmud Chowdhury) বলেছেন, “গণতন্ত্রের পথ নির্বাচন, তাই সংস্কার বা বিচারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।”
বুধবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টন (Nayapaltan) এলাকায় বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল (Jubo Dal), স্বেচ্ছাসেবক দল (Swecchasebak Dal) ও ছাত্রদল (Chhatra Dal)—আয়োজিত ‘তারুণ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’-এ তিনি এসব কথা বলেন।
তারুণ্যের শক্তি ও নির্বাচনের আহ্বান
আমীর খসরু বলেন, “এই সমাবেশের মাধ্যমে তারুণ্যের পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট বার্তা এসেছে—তারা গণতন্ত্র চায়, তারা নির্বাচন চায়। এটা নিয়ে অবহেলা করা যাবে না।”
তিনি বলেন, “সংস্কারের কথা বেগম খালেদা জিয়া (Khaleda Zia) ভিশন ২০৩০-এ প্রথম বলেছিলেন। পরে তারেক রহমান (Tareque Rahman) ২৭ দফা, যা পরবর্তীতে ৩১ দফায় উন্নীত হয়, তা তুলে ধরেন। এসব সংস্কার কার্যকর হবে জাতীয় সংসদে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে।”
বিএনপির ভূমিকা ও তারেক রহমানের নেতৃত্ব
আমীর খসরু বলেন, “তারেক রহমান জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) পতনের সেনাপতির ভূমিকা পালন করেছেন। বিএনপি দেশের সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত রাজনৈতিক দল। এই দলের ওপর হওয়া সব নির্যাতনের বিচার হবে।”
হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সমাবেশ
দুপুর সাড়ে ৩টায় আন্তর্জাতিক কেরাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী বশির আহমেদের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তারেক রহমান।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না এবং পরিচালনা করেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। বক্তব্য রাখেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।
শহরজুড়ে সমাবেশের প্রভাব
সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে আসেন। রাজধানী ছাড়াও সিলেট, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, বগুড়া, চট্টগ্রাম ও খুলনা থেকে নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
নয়াপল্টনের আশপাশে এলাকায় মাইকে বাজানো হয় জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে তৈরি গান। মঞ্চে স্থানীয় শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল ও পুরানা পল্টন মোড় পর্যন্ত এলাকা নেতাকর্মীতে পরিপূর্ণ ছিল। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিল।