সীমান্তে ভারতীয় ড্রোন ও পুশ ইন ইস্যুতে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনা

কুড়িগ্রাম (Kurigram) জেলার রৌমারী (Roumari) উপজেলার বড়াইবাড়ি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ (BSF) কর্তৃক ড্রোন উড়ানো এবং ১৪ জন নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইন করার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পুশ ইন ও তাৎক্ষণিক উত্তেজনা

মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোররাতে ১০৬৭ নম্বর সীমান্ত পিলারের নিকটে নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় বিএসএফ ১৪ জন নারী-পুরুষকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) (BGB) বাধা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে দুই বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

পতাকা বৈঠকের অনুরোধেও সাড়া দেয়নি বিএসএফ

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, তারা এ ঘটনার পর পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে আহ্বান জানায়। কিন্তু বিএসএফ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেয়নি। পরবর্তীতে শূন্যরেখা থেকে জামালপুর (Jamalpur) ব্যাটালিয়নের ৩৫-বিজিবি সদস্যরা ওই ১৪ জনকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।

বিএসএফ ২৪ জনকে পুশ ইন করতে চেয়েছিল

৩৫-বিজিবির সহকারী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত অ্যাডজুট্যান্ট শামসুল হক বলেন, “বিএসএফ তাদের দেশের ২৪ জন নাগরিককে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেছিল। আমাদের বিজিবি বাধা দিলে তারা শূন্যরেখায় ওই ব্যক্তিদের ফেলে রেখে চলে যায়।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা ওই ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ক্যাম্পে এনেছি এবং বিষয়টি নিয়ে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ড্রোন উড়ানো নিয়ে উদ্বেগ

স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বড়াইবাড়ি সীমান্তের আকাশে একটি ড্রোন ক্যামেরা উড়তে দেখা যায়, যা ভারতীয় বিএসএফের বলে ধারণা করা হচ্ছে। সীমান্তে এ ধরনের নজরদারি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও বিজিবি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত ও আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানা গেছে।