হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (Hefazat-e-Islam Bangladesh) এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বুধবার (২৮ মে) এক বিবৃতিতে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর (Shapla Chattar) গণহত্যার সহযোগী হিসেবে বামপন্থী ও শাহবাগীদের বিচার দাবি করেছেন।
বিবৃতির মূল বক্তব্য
তিনি বলেন, “২০১৩ সালের ৫ মে রাতে রাসূলপ্রেমিক নিরীহ তৌহিদি জনতার ওপর রাষ্ট্রীয়ভাবে যে বর্বরতা চালানো হয়েছিল, তাতে শুধু সরকারের দায় নেই, বরং শাহবাগ আন্দোলন (Shahbagh Movement) ও বামপন্থী উগ্র সেক্যুলার গোষ্ঠীও উসকানিদাতা ও সমর্থক হিসেবে ভূমিকা রেখেছে।”
তিনি দাবি করেন, ভারতের ক্রীড়নক হিসেবে শাহবাগীরা ইসলামবিদ্বেষী চক্রান্তে যুক্ত ছিল, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও ন্যায়বিচারের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছিল।
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ও জুলাই চেতনা
আজিজুল হক বলেন, “শাপলার সেই প্রতিরোধ চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তৌহিদি জনতা বীরোচিত ভূমিকা পালন করেছে। এতে ৮০ জনের বেশি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক শহীদ হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণ শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ও তার ফ্যাসিস্ট সরকারকে উৎখাত করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করেছে।”
বামপন্থী ও সেক্যুলারদের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা
বিবৃতিতে বলা হয়, “ফ্যাসিবাদের দোসর এই ইসলামবিদ্বেষী বাম ও সেক্যুলারদের চক্রান্ত ব্যর্থ করতে হবে। তারা প্রগতিশীলতার মুখোশ পরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে দেশে অস্থিরতা তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।”
তিনি অভিযোগ করেন, “দেশের এক বৃহৎ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা সম্প্রতি আলেম সমাজকে ‘মৌলবাদী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন, যা পুরনো ভারতীয়-আওয়ামী বয়ানেরই পুনরাবৃত্তি।”
সরকারের প্রতি আহ্বান
বিবৃতিতে সচিবালয়ের অস্থিরতা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানান হেফাজত নেতা। সেইসাথে দেশের ছাত্র-জনতাকে শাহবাগ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।