বুধবার (২৮ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন (Nayapaltan) এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় বিএনপি (BNP)’র তিন অঙ্গসংগঠন—জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (Jatiyatabadi Chhatra Dal), যুবদল (Jubo Dal) ও স্বেচ্ছাসেবক দল (Swecchasebak Dal) এর ডাকে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’। চারটি সাংগঠনিক বিভাগ—ঢাকা (Dhaka), ময়মনসিংহ (Mymensingh), কুমিল্লা (Comilla) এবং চট্টগ্রাম (Chittagong) থেকে আগত লাখো তরুণ-তরুণী এতে অংশগ্রহণ করেন।
রাজপথে ভোটাধিকারের দাবি
সমাবেশস্থল ছাড়িয়ে জমায়েত ছড়িয়ে পড়ে নটরডেম কলেজ (Notre Dame College) থেকে কাকরাইল মোড় (Kakrail Mor) পর্যন্ত। সেখানে ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই। তরুণদের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়, “ভোটাধিকার ফেরত চাই”।
এক তরুণ বলেন, “গণতান্ত্রিক অধিকার—ভোটাধিকার যেন আমরা আবার ফিরে পাই।” আরেকজন জানান, “আমরা পরিচ্ছন্ন রাজনীতি চাই।” অন্য এক বক্তা বলেন, “যেভাবে ফ্যাসিস্টদের বিতাড়িত করেছি, সেভাবেই রাজপথে নেমে আপনাকেও বিতাড়িত করবো।”
বিএনপি নেতাদের বক্তব্য
সমাবেশে উপস্থিত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এর সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির (Nasir Uddin Nasir) বলেন, “তরুণদের মতামতের ভিত্তিতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ আজ এখান থেকেই প্রকম্পিত হবে।”
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য (Amir Khasru Mahmud Chowdhury) বলেন, “সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পিছিয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস (Mirza Abbas) বলেন, “এই নয় মাসে যারা পারেন নাই, নয় বছরেও পারবেন না, নব্বই বছরেও পারবেন না। দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটা ব্যবস্থা নিন।”
সালাহউদ্দিন আহমদ (Salahuddin Ahmed) বলেন, “আমরা নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, কারো পদত্যাগ চাইনি। পদত্যাগের নাটক দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে।”
আগাম কর্মসূচির ঘোষণা
সমাবেশ থেকে ঘোষিত হয়, দ্রুত নির্বাচন দাবিতে আগামী জুলাই ও আগস্ট মাসে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।