তিন দলের নেতাদের হত্যার পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল সুব্রত বাইন চক্র, দেশজুড়ে চাঞ্চল্য

দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক সংকট তৈরির লক্ষ্যে তিনটি বড় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের টার্গেট করে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল সুব্রত বাইন (Subrata Bain) ও তার সহযোগীরা। পরিকল্পনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন সুব্রতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ (Molla Masud)। এছাড়া গ্রেপ্তার হয়েছেন বাহিনীর সদস্য আরাফাত ইবনে নাসির ওরফে শ্যুটার আরাফাত (Arafat Ibn Nasir) ও এমএএস শরীফ (MAS Sharif)।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, তাদের টার্গেটে ছিলেন বিএনপি (BNP), জামায়াত (Jamaat) ও নবগঠিত এনসিপি (NCP)’র শীর্ষ নেতারা। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সুব্রতের বাহিনী মগবাজার (Moghbazar), শাহবাগ (Shahbagh), গুলশান (Gulshan) ও বাড্ডা (Badda) এলাকায় সন্ত্রাসীদের সংগঠিত করছিল।

গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলির তথ্য পাওয়া যায়। জানা গেছে, সীমান্ত থেকে অস্ত্র এনে সেগুলো বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

গ্রেপ্তার অভিযানে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং ১টি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অভিযুক্তরা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমেই যোগাযোগ করতেন।

গতকাল হাতিরঝিল থানা (Hatirjheel Police Station) অস্ত্র মামলায় সুব্রত বাইন এর আট দিন এবং অপর তিনজনের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার (Dhaka) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন।

এর আগে কুষ্টিয়া (Kushtia) থেকে সুব্রত ও মোল্লা মাসুদকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শ্যুটার আরাফাত ও শরীফকে।

আইএসপিআর (ISPR) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা (Sami Ud Doula) জানান, সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে ২৭ মে ভোর পাঁচটার পর কুষ্টিয়ার একটি ছাত্রাবাস থেকে সুব্রত ও মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শরীফ ও শ্যুটার আরাফাতকে।

একসময় ঢাকার কুখ্যাত ‘সেভেন স্টার’ বাহিনীর প্রধান ছিলেন সুব্রত বাইন। ৯০-এর দশকে ঢাকা শহরে ছাত্রলীগ নেতার হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ছিলেন তিনি। ভারতে পালিয়ে গিয়ে কলকাতা (Kolkata) থেকে বাংলাদেশে অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি ছিল।