চট্টগ্রাম (Chattogram) প্রেসক্লাবের সামনে জামায়াত (Jamaat) নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম (ATM Azharul Islam)–এর মুক্তির প্রতিবাদে এবং রাজশাহীতে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট (Democratic Student Alliance)ের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে আয়োজিত মানববন্ধনে সহিংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় অন্তত ৮-১০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (Socialist Student Front) চট্টগ্রাম নগরের সভাপতি রিপা মজুমদার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত বিশ্বাস এবং অর্থ সম্পাদক সুদীপ্ত গুহ। এক নারী নেত্রীকে লাথি মারার মুহূর্তের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যা জনমনে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
ভাইরাল হওয়া ছবিতে অভিযুক্ত ব্যক্তি সাতকানিয়া (Satkania) উপজেলার বাসিন্দা আকাশ চৌধুরী। তিনি জামায়াতের কোনো পদে না থাকলেও তাঁর সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরীর একাধিক ছবি ছড়িয়েছে। আকাশের বিরুদ্ধে এর আগেও মুরাদপুর (Muradpur) এলাকায় হামলার অভিযোগ রয়েছে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগরের সহসভাপতি পুষ্পিতা নাথ বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।”
অন্যদিকে, শাহবাগবিরোধী ঐক্য পক্ষের প্রধান সমন্বয়কারী আবরার হাসান রিয়াদ বলেন, “বাম সংগঠনগুলো শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের ফ্যাসিবাদে সহযোগিতা করেছে, তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো।”
হামলার পরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব (Chattogram Press Club) চত্বরে ইসলামী ছাত্রশিবির (Islami Chhatra Shibir) এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (Anti-Discrimination Student Movement)–এর কিছু কর্মীকে দেখা গেলেও শিবির কর্তৃপক্ষ উপস্থিতির কথা অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে।
কোতোয়ালি থানা (Kotwali Police Station)র ওসি আবদুল করিম জানান, “দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছিল, দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। দুজনকে আটক করা হয়েছে, তবে পরে আন্দোলনকারীদের চাপে তারা থানার প্রাঙ্গণ থেকে সরে যান।”
এই ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং নারী নির্যাতনের ঘটনার বিচারের দাবি উঠেছে।