১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান (Ziaur Rahman)–এর হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনো নানা প্রশ্ন রয়ে গেছে, বিশেষ করে তাঁর মৃত্যুর পরপরই তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়া (Khaleda Zia) যে প্রশ্ন তুলেছিলেন তা আজও উত্তরবিহীন। ২০১৪ সালে জয়পুরহাট (Joypurhat)র এক জনসভায় খালেদা জিয়া প্রশ্ন করেছিলেন, “আপনি (শেখ হাসিনা) আসার ১৩ দিন পর জিয়া মারা গেলেন কেন? বোরকা পরে সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছিলেন কেন?”
আজ যখন জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকী সামনে, তখন আবার নতুন করে প্রশ্ন উঠছে—জিয়ার হঠাৎ মৃত্যু কাদের জন্য হুমকি ছিল? কেন তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো?
বিএনপি (BNP) বহু বছর পর এবার স্বাধীনভাবে জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)র শাসনামলে সমাধিস্থল ধ্বংসের চেষ্টার কথাও স্মরণ করা হয়েছে। ১৬ বছরের দমনপীড়নের পর আজ বিএনপি আবার আশার আলো দেখছে, কারণ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman)ও দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো পরিবর্তনের পথে রয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus) নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তাঁর লক্ষ্য সংস্কার, নির্বাচন ও ফ্যাসিবাদের বিচারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তরণ। তবে ইউনূসের আশেপাশে থাকা কিছু ব্যক্তির ‘অভিজাত মানসিকতা’ রাজনীতিকদের সাথে দূরত্ব তৈরি করছে।
নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা বিলম্বিত হওয়ায় অনেকেই ইউনূসের ইমেজ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কারণ সংস্কার এবং নির্বাচন একসঙ্গে চললেও, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য নির্বাচনের রোডম্যাপ ছাড়া দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা কমবে না।
জামায়াতে ইসলামী (Jamaat-e-Islami) দলটি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে শাস্তি পেলেও এখন এ টি এম আজহারুল ইসলাম (ATM Azharul Islam) মুক্ত হয়েছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizen Party – NCP)–র মতো নতুন দলগুলো ইতোমধ্যে বড় রাজনৈতিক শক্তিতে রূপ নিচ্ছে।
দেশে এখন প্রায় সব রাজনৈতিক শক্তি ক্ষমতার প্রত্যাশা করছে। অতএব দ্রুত একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন, জাতীয় ঐক্য ও অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক পরিবেশ ছাড়া স্থায়ী পরিবর্তন সম্ভব নয়।