বিশ্বখ্যাত অভিনেতা জ্যাকি চ্যান (Jackie Chan) তার ৪ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নিজ ছেলের হাতে না তুলে দিয়ে দান করে দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের কল্যাণে। মানবিকতা ও নিজের জীবনদর্শনের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে চমকে দিয়েছেন ভক্তদের।
মানবিকতার ব্যতিক্রম উদাহরণ
অসংখ্য আইকনিক অ্যাকশন সিনেমার অভিনেতা জ্যাকি চ্যান শুধু পর্দার নয়, বাস্তব জীবনেও একজন আদর্শ মানবিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তার নিজস্ব একটি অলাভজনক সংস্থা রয়েছে, যেখানে প্রান্তিক মানুষ ও শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা হয় নিয়মিত। এই সংস্থাতেই তিনি দান করেছেন তার সম্পদের পুরো অংশ।
ছেলে পেলেন না কিছুই
এই সিদ্ধান্তের ফলে তার ছেলে জ্যাসি চ্যান (Jaycee Chan) পাচ্ছেন না বাবার কোনো সম্পত্তি। ৪৩ বছর বয়সী জ্যাসি নিজেও সিনেমা, সঙ্গীত ও পরিচালনায় যুক্ত থাকলেও বাবার জনপ্রিয়তা ছুঁতে পারেননি।
একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে জ্যাকি চ্যান বলেন, “যদি আমার ছেলের মেধা থাকে, তবে সে নিজেই আয় করতে পারবে। আর যদি না থাকে, তবে আমার সম্পদ পেলে কেবল তা নষ্ট করবে।”
সামাজিক প্রতিক্রিয়া
জ্যাকি চ্যানের এই বক্তব্য ও সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্বব্যাপী অনুরাগীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ একে প্রশংসাযোগ্য দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন বিষয়টি পরিবারকেন্দ্রিক কঠোরতা।
যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পত্তি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত নয়, তবে মৌখিকভাবে এই ঘোষণা জ্যাকি আগেই দিয়েছেন।
এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে, জ্যাকি চ্যানের দৃষ্টিতে দায়িত্বশীলতা, পরিশ্রম ও মানবিকতা শুধু কথা নয়, জীবনের মূলনীতি।