ধর্ম নিয়ে মিথ্যাচারের জন্য অপু বিশ্বাসকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বললেন জয়

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস (Apu Biswas) সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ধর্ম পরিবর্তন নিয়ে দেওয়া বক্তব্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ক্যারিয়ার ও সন্তানের স্বার্থে এক সময় নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিতে বাধ্য হলেও বাস্তবে তিনি সবসময়ই হিন্দু ধর্মের (Hinduism) অনুসারী ছিলেন।

এই মন্তব্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সাক্ষাৎকারটির সঞ্চালক, অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় (Shahriar Nazim Joy) ফেসবুকে একটি পোস্টে অপু বিশ্বাসকে উদ্দেশ করে লিখেছেন, “ধর্ম নিয়ে মিথ্যে কথা বলা যায় না। ধর্ম নিয়ে মিথ্যে মানে একবার তুমি বিশ্বাস করছ আল্লাহকে, আরেকবার বলছো না। এতে মুসলিম (Islam) এবং হিন্দু উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই কষ্ট পেয়েছে। ক্যারিয়ার, সন্তান এবং স্বামীর মাঝে ব্যালেন্স করতে গিয়ে তুমি যে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছো, তা তোমাকে আশ্রয়হীন করে দিয়েছে।”

জয় আরও বলেন, “তোমার নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত। ক্ষমা চাওয়া ও ক্ষমা করে দেওয়া—এই দুটোই মহত্ত্বের কাজ। তুমি মহৎ হলে অন্যরাও তোমার সাথে মহত্ত্ব দেখাবে।”

সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস যা বলেছিলেন

সেই সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেন, “বিয়ের পরও আমি হিন্দু ধর্মেই ছিলাম। ক্যামেরার সামনে অনেক মিথ্যা বলেছি ক্যারিয়ার ও সন্তানের কথা ভেবে। শাকিব আমার স্বামী ছিল, তাকে সমর্থন করা আমার দায়িত্ব ছিল।” তিনি আরও বলেন, “বিয়ের সময় আমি কখনোই প্রকৃত ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হইনি। শাকিবের পরিবার ধর্মান্তরের প্রক্রিয়ার কিছুই করেনি।”

সন্তান ও মৃত্যুচিন্তার প্রসঙ্গ

অপু বলেন, “আমার ছেলেকে নিয়ে যখন লাইভে এলাম তখন সবাই জানলো আমি বিবাহিত। সবাই ভাবতো আমি মুসলিম হয়েছি, কিন্তু আমি হিন্দুই ছিলাম। আমি ভেবেছিলাম সংসার ঠিক থাকুক বলেই মিথ্যা বলেছিলাম। তবে দিনশেষে আমি ভাবতাম, যদি মারা যাই তখন কী হবে? আমার পরিবার ও দর্শকরা তখন দ্বিধায় পড়বে—আমি কি আগুনে পোড়ানো হবো না মাটিতে সমাহিত?”

অপু বিশ্বাস ও শাকিব খান (Shakib Khan) ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেন এবং ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল এক লাইভ অনুষ্ঠানে সন্তান জয়কে সঙ্গে নিয়ে অপু তাদের বিবাহের তথ্য প্রকাশ করেন। তবে সেই সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।