নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা, সালাহউদ্দিন আহমদের অভিযোগ—‘শুধুই আনুষ্ঠানিকতা, কাজের অগ্রগতি নেই’

আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আবারও আলোচনায় বসার জন্য বিএনপি (BNP)-কে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের (Caretaker Government) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। আগামী ২ জুন এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা (State Guest House Jamuna)-য়।

শনিবার (৩১ মে) ঢাকা (Dhaka)-তে কৃষকদলের (Krishak Dal) এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান বিএনপি-র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ (Salahuddin Ahmed)।

সালাহউদ্দিনের অভিযোগ: আলোচনা শুধুই আনুষ্ঠানিকতা

আলোচনার আমন্ত্রণ থাকলেও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘‘আগামী ২ জুন আবার আমাদের ডেকেছেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা। ভাবটা আমরা এ রকম বুঝেছি, আনুষ্ঠানিকতার আয়োজনের কোনো কমতি নেই। কিন্তু কাজের কোনো খবর নেই। আবার ডেকেছেন ২ তারিখে, দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার আবার শুভ উদ্বোধন হবে। কেন, উদ্বোধন কয়বার করতে হবে?’’

ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপি

তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন দিতে হবে। এটা বাংলাদেশের মানুষের দাবি। একটিও কারণ নেই ডিসেম্বরের বাইরে নির্বাচন যাওয়ার। সংস্কার ও নির্বাচন চলমান প্রক্রিয়া।’
এছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার আমাদের প্রধানতম এজেন্ডা। তার থেকেও বেশি জরুরি হলো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিচার, যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল। সবাইকে কাঠগড়ায় আনা হবে, এটাই আমাদের সর্বোচ্চ লক্ষ্য। কিন্তু যিনি আমাদের সামনে নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন, তিনি এখন পিছিয়ে গেছেন।’

‘ডিসেম্বর থেকে জুন’ পরিকল্পনায় প্রশ্ন

নির্বাচন বিলম্বের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার একটিও কারণ নেই, যুক্তি নেই। আপনি শুধু বললেন ডিসেম্বর থেকে জুন! কেন? কী কারণে জুনে যেতে হবে?’

ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের অভিযোগ

তিনি আরও বলেন, যারা দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না, তারাই বিএনপি নেতাদের ‘দেশদ্রোহী’ কিংবা ‘বিদেশি শক্তির প্রতিনিধি’ হিসেবে অপবাদ দিচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, ১৭ বছরের আন্দোলনের মাধ্যমে যা অর্জিত হয়েছে, তা নস্যাৎ করতে একটি মহল সক্রিয়। এছাড়াও ফ্যাসিবাদী কৌশলের মাধ্যমে একটি শ্রেণি জাতির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।