‘নতুন ফ্যাসিবাদের আগমন ধ্বনি শোনা যাচ্ছে’—আনু মুহাম্মদের সতর্ক বার্তা

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ (Anu Muhammad) বলেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতির ভেতরে নতুন ফ্যাসিবাদের আগমন ধ্বনি শোনা যাচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “সামাজিক পরিসরে এক নতুন ফ্যাসিবাদী শক্তির গতিবিধি স্পষ্ট হচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক।”

শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Dhaka) রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত ‘নাগরিক সংহতি সমাবেশে’ তিনি এ মন্তব্য করেন।
এই সমাবেশের আয়োজন করে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট (Democratic Student Alliance)।
সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয় এ টি এম আজহারুল ইসলাম (ATM Azharul Islam)–এর দায়মুক্তি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (University of Rajshahi) ও চট্টগ্রামে (Chattogram) গণতান্ত্রিক মিছিলে জামায়াত (Jamaat)–ছাত্রশিবির (Shibir) এর হামলার প্রতিবাদে।

যুদ্ধাপরাধ ও ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ

আনু মুহাম্মদ বলেন, “যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত একজন ব্যক্তি, এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিয়ে ইতিহাসকেই বিকৃত করা হয়েছে। এটা শহীদদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।”
তিনি বলেন, “যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ইসলামবিরোধী বলার যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা মিথ্যা। ৭১–এর শহীদদের অধিকাংশই ছিলেন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। তাঁদের হত্যার বিচারকে ইসলামবিরোধী বলা মানে ইসলামের অপমান।”

নারী ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ

তিনি বলেন, “নারী, শ্রমিক, শিক্ষকসহ সাধারণ মানুষ যখন অধিকারের কথা বলেন, তখনই হামলা হয়। অথচ হামলাকারীরা রক্ষা পায়, কারণ তাদের পেছনে সরকারসমর্থিত শক্তি রয়েছে।”

ছাত্র রাজনীতির সহিংসতা

সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, “রাবিতে আজহারের খালাসের প্রতিবাদে মশাল মিছিলে ছাত্রশিবির দুইবার হামলা চালিয়েছে। এটি ১৯৯৩ সালে শহীদ রিমুর হত্যার পুনরাবৃত্তি।”

তিনি বলেন, “ছাত্র রাজনীতিকে দখলের হাতিয়ার বানিয়ে সহিংসতা ছড়ানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদেরকেই প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।”

সমাবেশে অন্যান্যদের বক্তব্য

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ভাসানী পরিষদ (Bhasani Parishad)–এর সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশীদ এবং গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য মানজুর আল মতিন।