বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর (Bangladesh Jamaat-e-Islami) কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের (Dr. Syed Abdullah Mohammad Taher) বলেছেন, “বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য চলছে বহুমুখী ষড়যন্ত্র।” তিনি বলেন, “এই জাতি যেমন ১৯৪৭, ১৯৫২ ও ১৯৭১ সালে বারবার সংগ্রাম করে বিজয় অর্জন করেছে, তেমনি জুলাই-আগস্টেও গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছে।”
শনিবার (৩১ মে) কুমিল্লার (Cumilla) চৌদ্দগ্রাম (Chaudhagram) উপজেলার নোয়াবাজারস্থ খাদিজা হোটেল মিলনায়তনে আয়োজিত জামায়াতের নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের অবস্থান
ডা. তাহের বলেন, “নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান কাজ। আমরা বলেছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে তার আগে মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। যদি সংস্কারে সময় লাগে, তাহলে ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলেও নির্বাচন হতে পারে।”
তিনি যোগ করেন, “আমরা দুটি বিষয়ের রোডম্যাপ চেয়েছি—একটি নির্বাচন, আরেকটি সংস্কার। প্রধান উপদেষ্টা যেন নিজ থেকেই তা ঘোষণা করেন, তাহলেই আস্থার সংকট অনেকটাই দূর হবে।”
‘লাভের লোভে নয়, জনগণের স্বার্থে রাজনীতি’
রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডা. তাহের বলেন, “শহীদদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না হয়। ব্যক্তির চেয়ে দল, দলের চেয়ে দেশ এবং জনগণের স্বার্থ বড় হোক—এটাই হওয়া উচিত রাজনীতির মূল স্লোগান।”
তিনি আরও বলেন, “এই জাতি বারবার প্রতারিত হয়েছে কিছু স্বার্থান্বেষী নেতৃত্বের কারণে। তাই রাজনৈতিক নেতৃত্বের উচিত হবে জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করা।”
সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমির মো. মাহফুজুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি মো. বেলাল হোসাইন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন—জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমির অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান, সাবেক উপজেলা আমির ভিপি সাহাব উদ্দিন, ডা. ফজলুর রহমান মজুমদার, পৌরসভা আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইব্রাহীম, আব্দুর রহিম, আইয়ুব আলী ফরায়েজী, মাওলানা আব্দুল কাইউম, ডা. মফিজুর রহমান, শেখ আহমদ, আবুল হাশেম, কাজী আব্দুল কাদের, আবুল হাসেম, ডা. মোশাররফ হোসেন বাহার, এ এন এম আবু তাহের, মোস্তফা নুরুজ্জামান খোকন, রুহুল আমিন ও জাকির মাহমুদ।
শ্রীপুর, শুভপুর, কালিকাপুর ও উজিরপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড, কেন্দ্র ও গ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।