জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP)-র উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম (Sarjis Alam) অভিযোগ করেছেন, জাতীয় পার্টি (Jatiya Party)-র চেয়ারম্যান জি এম কাদের (GM Quader)-এর রংপুর সফরে অনুষ্ঠিত ‘গোপন বৈঠক’ আসলে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার একটি প্রক্রিয়া। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পর রংপুরের পায়রা চত্বরে সাংবাদিকদের কাছে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
জাপার আড়ালে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের অভিযোগ
সারজিস আলম বলেন, “জাতীয় পার্টি বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ (Awami League)কে স্বৈরাচারী সরকারে পরিণত হতে সহায়তা করেছে। এখন তারা রংপুরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। জি এম কাদেরের গোপন বৈঠকে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা অংশ নিচ্ছেন।”
তিনি আরও দাবি করেন, “বৈষম্যবিরোধীরা যখন এই বৈঠকের প্রতিবাদ করে মিছিল করে, তখন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।”
সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ ও বার্তা
জি এম কাদের-এর রংপুরের সেনপাড়া (Senpara)-স্থ বাসভবনে হামলার ঘটনায় শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিএনপি (BNP) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (Anti-Discrimination Student Movement)-এর জেলা ও মহানগর নেতাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেনাবাহিনী।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় উপস্থিত হন সারজিস আলম। সেখানে তিনি সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেড (72 Infantry Brigade)-এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম (Brigadier General Humayun Kaiyum)-এর সঙ্গে কথা বলেন।
কাইয়ুম বলেন, “শরীরে যতক্ষণ রক্ত আছে, উই আর নট গোয়িং টু প্রমোট এনিওয়ান যে দেশের বিরুদ্ধে করে। মবের নামে যে আগুন লাগায়, ঘরদোর ভাঙচুর করে, তার কোনো সুযোগ এখন নেই।”
রাতের জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে প্রশ্ন
সারজিস বলেন, “আমরা মনে করি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হোক বা বিএনপি, জামায়াত কিংবা এনসিপির কেউ হোক—তদন্তের স্বার্থে যেকোনো ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। তবে রাত ১টা বা ২টার সময় তা দৃষ্টিকটু দেখায়। আমাদের প্রত্যাশা, দিনের বেলা অফিস আওয়ারেই এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।”
সংঘর্ষ ও উত্তেজনার পটভূমি
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে রংপুরের সেনপাড়ায় জি এম কাদেরের ‘দ্য স্কাই ভিউ’ বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয় জাতীয় পার্টি, এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।