মেজর সিনহা হত্যা: ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান (Major (Retd.) Sinha Md. Rashed Khan) হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ (OC Pradeep Kumar Das) ও পরিদর্শক লিয়াকত আলী (Inspector Liakat Ali)-র মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাকি ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে।

হাইকোর্টের রায়

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান (Attorney General Md. Asaduzzaman) এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হুমায়ুন কবির মঞ্জু ও শামীমা দিপ্তি। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহাজাহান।

অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে বলেন, “মেজর সিনহা হত্যা একটি অত্যন্ত আলোচিত মামলা। আমরা চেয়েছি ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসির রায়সহ বিচারিক আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় বহাল থাকুক।”

বিচারিক আদালতের রায় ও প্রেক্ষাপট

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্ট (Shamlapur Checkpost)-এ মেজর সিনহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে একটি ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্র নির্মাণে কাজ করছিলেন।

এ ঘটনায় ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল রায় দেন। টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া, তিন পুলিশ সদস্য ও তিন সোর্সকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আপিল ও ডেথ রেফারেন্স

রায়ের পর মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। কারাগারে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আপিল করেন। প্রধান বিচারপতি ২১ এপ্রিল মামলাটি অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন এবং ২৩ এপ্রিল থেকে হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।

আলোচিত হত্যাকাণ্ড

সাড়ে চার বছর আগে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়। মামলার ১৫ আসামির মধ্যে চার পুলিশ সদস্য ও তিন এপিবিএন সদস্যকে আদালত খালাস দেন।