সিলেট (Sylhet) সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি (BNP)’র স্থানীয় নেতাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ, নেতৃত্ব–সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব ও অসন্তোষ এখন প্রকাশ্যে। বিশেষ করে মেয়র পদে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশীর অবস্থান স্পষ্ট হওয়ার পর এ বিভেদ তীব্র হয়েছে।
আরিফুল বনাম কয়েস লোদী: প্রকাশ্য সংঘর্ষ
সাবেক মেয়র ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী (Ariful Haque Chowdhury) ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী (Rezaul Hasan Koyes Lodi)—দুজনেই মেয়র পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর পুরনো বিভেদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। সর্বশেষ জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর আলোচনা সভায় জনসম্মুখে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস, অনুসারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি
ইমদাদ হোসেন চৌধুরী (Imdad Hossain Chowdhury)’র মোবাইলে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (Anwaruzzaman Chowdhury)’র ফোন আসে বলে গুজব ছড়ালে দল ভেতরে বাইরে চাপে পড়ে। ইমদাদ তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল হাসান লোদীকে অভিযুক্ত করেন। পরবর্তীতে অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয়।
সিনিয়র নেতাদের অপমান?
জ্যেষ্ঠ নেতা নাসিম হোসাইন (Nasim Hossain) ও বদরুজ্জামান সেলিম (Badruzzaman Selim) অভিযোগ করেন, বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ না দিয়ে তাঁদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। সভায় আরিফুল হকের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে প্রশ্ন তোলার জবাবে রেজাউল লোদী উত্তেজনাপূর্ণ ভঙ্গিতে উত্তর দেন বলে অভিযোগ।
ফেসবুকে দলের অবস্থান ঢেলে সাজানোর দাবি
১৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বদর মাহমুদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে (Tarique Rahman)’র দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “সিলেট বিএনপিকে গতিশীল করতে মহানগর কমিটি ঢেলে সাজাতে হবে।”
কেন্দ্রীয় পর্যায়ের উদ্বেগ
কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী (Miftah Siddiqui) বলেন, “আমরা চাই সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করুন। সংগঠনের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”