খুলনা (Khulna)র রাজনীতিতে দীর্ঘ ১৯ বছর পর আবারও সক্রিয় হয়েছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আলী আসগার লবী (Ali Asgar Lobi)। তাঁর হঠাৎ রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনে তৃণমূল থেকে নেতৃত্ব পর্যায় পর্যন্ত উঠেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
ফেরার পর কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ
সম্প্রতি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনায় আয়োজিত দুটি কর্মসূচিতে অংশ নেন লবী। একটিতে ছিলেন বিশেষ অতিথি এবং অন্যটিতে ছিলেন প্রধান অতিথি। এতে ধারণা তৈরি হয়েছে যে তিনি আবারও সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরছেন এবং সম্ভবত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-২ (Khulna-2) অথবা খুলনা-৫ (Khulna-5) আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন।
সমালোচনা ও ক্ষোভ তৃণমূলে
তবে লবীর প্রত্যাবর্তনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূলের অনেকে। তারা বলছেন, যখন দমন-পীড়নের সময় রাজপথে থাকার দরকার ছিল, তখন তিনি ছিলেন অনুপস্থিত। এখন দলের “সুসময়ে” ফিরে এসে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা গ্রহণযোগ্য নয়। যুবদল (Jubo Dal), ছাত্রদল (Chhatra Dal) এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের (Swecchasebak Dal) নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই নিয়ে সমালোচনায় সরব।
তাদের মতে, “আমরা যখন রাজপথে নির্যাতিত হয়েছি, তখন তাঁকে দেখিনি। এখন হঠাৎ নির্বাচন আসলে কেন তিনি ফিরে আসছেন?” তারা দলে দুঃসময়ে সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া নেতাদের যোগ্য মূল্যায়নের দাবি তুলছেন।
অনুসারীদের দৃষ্টিভঙ্গি
অন্যদিকে, লবীর অনুসারীরা তাঁর প্রত্যাবর্তনকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তাঁদের মতে, তিনি খুলনায় শক্তিশালী প্রার্থী হতে পারেন, বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর (Jamaat-e-Islami) সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার (Mia Ghulam Parwar) এর বিরুদ্ধে।
দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর
এ বিষয়ে লবী বলেন, “আমি দলের কর্মী। দল চাইলে আমি নির্বাচন করব। না চাইলে করব না। সব কিছু দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হবে।”
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তিনি দলের মহাসচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তখন তিনি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।