প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে বিএনপির (BNP) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী (Ruhul Kabir Rizvi) বলেছেন, “এই বাজেট শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) দেওয়া বাজেটের সঙ্গে কোনো পার্থক্য নেই।”
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে পল্টন (Paltan) এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল।
বাজেট নিয়ে রিজভীর অভিযোগ
রিজভী বলেন, “আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছেন, যার মধ্যে ২৩ শতাংশ প্রশাসনের বেতন আর ১৪ শতাংশ সুদের খরচে যাবে। তাহলে সাধারণ গরিব মানুষের জন্য কী রইল? শেখ হাসিনাও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছিলেন, আপনারাও তাই করছেন।”
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)–এর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, “এই সরকার সংস্কারকে সামনে এনেছিল, এখন সেটাও আর বলছে না। বরং দেখছি, গরিব মানুষের পরিবর্তে লুটেরা আর কালো টাকার মালিকদের সুযোগ করে দিচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কম, অথচ এই দুই খাত সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার। গরিবকে জাদুঘরে পাঠানোর কথা বলেছিলেন যিনি, আজ তার হাত দিয়েই দুর্নীতিবাজদের জন্য সুযোগ তৈরি হচ্ছে।”
জনগণের ওপর চাপ বাড়বে
রিজভীর মতে, এই বাজেটে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত জনগণের ওপর চাপ আরও বাড়বে। তিনি বলেন, “এই বাজেট মুদ্রাস্ফীতি কমানোর কোনো দিকনির্দেশনা দেয়নি। বাজেট এমনভাবে করা হয়েছে যেন গরিব আরও গরিব হয়।”
জিয়াউর রহমানের স্মরণ
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান (Ziaur Rahman)–কে স্মরণ করে রিজভী বলেন, “তিনি শুধু একজন নেতা ছিলেন না, বরং একটি যুগের প্রতীক ছিলেন। দেশের দুর্ভিক্ষের সময়ে তিনি খাদ্য উৎপাদন ও কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে জাতিকে একটি ভিত্তি দিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “খাল খনন, কৃষিঋণ এবং মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি সহ নানা উদ্যোগে দেশকে তিনি অর্থনৈতিকভাবে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছিলেন।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য নেতৃবৃন্দ
তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ (Abul Kalam Azad)–এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন:
– বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম (Abdus Salam)
– স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু (Mir Sarafat Ali Sapu)
– সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম (Prof. Aminul Islam)