একজন প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবী এক কোটি টাকার ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছিলেন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলির জন্য—এমন বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছেন চৌধুরী রফিকুল আবরার (Chowdhury Rafiqul Abrar), প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা উপদেষ্টা। বুধবার এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য দেন।
বুদ্ধিজীবীর মাধ্যমে এক কোটি টাকার ঘুষ প্রস্তাব
চৌধুরী রফিকুল আবরার জানান, একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলির জন্য তিনি একজন পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে ঘুষের প্রস্তাব পান। সেই ব্যক্তি একজন প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধিজীবী, যিনি সরকারি ও শিক্ষামহলে পরিচিত মুখ। উপদেষ্টা বলেন, “যিনি আমার কাছে তদবির করেছিলেন, তিনি নিজেও পরিচিত এবং যাকে সুপারিশ করেছিলেন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।” পরবর্তীতে ঘুষের অঙ্ক জানিয়ে বলেন, “এক কোটি টাকা অফার করা হয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সেই ব্যক্তির যোগ্যতা যাচাই করি এবং দেখি তিনি পদটির জন্য উপযুক্ত নন। সুতরাং তাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। এরপর তিনি ভিন্ন মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন এবং ঘুষের অফার দেন।”
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির প্রতিশ্রুতি
চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, “শিক্ষাব্যবস্থাকে স্বচ্ছ করতে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে। আমি নিজে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি এবং আমার সহকর্মীদেরও বলছি—নৈতিক অবস্থানে অটল থাকুন। আমি দায়িত্বে থাকাকালীন কোনো দুর্নীতি বরদাস্ত করব না।”
তিনি আরও বলেন, “প্রতিদিন পত্রিকায় আমরা দুর্নীতির নানা খবর দেখি। সব কিছু যাচাই করা সম্ভব না হলেও, যেসব স্থানে ঘটনা ঘটে, আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (Secondary and Higher Education Division) সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের (Siddiq Zobair), কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের (Technical and Madrasah Education Division) সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম (Dr. K M Kabirul Islam) এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ড (Dhaka Education Board) চেয়ারম্যান ড. খন্দোকার এহসানুল কবির (Dr. Khondoker Ehsanul Kabir)।