আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে দেশের পশুর হাটগুলোতে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (Jahangir Alam Chowdhury)। তিনি বলেন, “আগে দুর্নীতির টাকায় বড় বড় গরু কেনা হতো, এখন সেই কালোটাকার জোয়ার নেই।” বৃহস্পতিবার (৫ জুন) গাবতলী পশুহাট (Gabtoli Cattle Market) পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বড় গরু কেনার প্রবণতা কম, কারণ ‘কালোটাকা’ নেই
উপদেষ্টা বলেন, “আগে তো দুর্নীতির টাকায় পকেট ভরা ছিল, এখন আর সেই টাকা নেই। এজন্য বড় গরু কেনা কমেছে। দুর্নীতিবাজ যাদের কালোটাকা ছিল, তারাই বড় বড় গরু কিনতো। এখন সৎ উপায়ে আয় করা মানুষরা ছোট বা মাঝারি গরুর দিকে ঝুঁকছে।”
তবে তিনি যোগ করেন, “সৎ পথে উপার্জন করা অনেক বড় ব্যবসায়ী আছেন, যারা বড় গরু কিনছেন এবং কিনবেনও।”
বাজারে গরুর দাম কিছুটা কম, পর্যাপ্ত সরবরাহে স্বস্তিতে ক্রেতারা
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “গতবারের তুলনায় এবার গরুর দাম কিছুটা কম। লাখে ২০-৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত কমে কোরবানির গরু পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে পর্যাপ্ত পশু রয়েছে, কেউ এসে নিরাপদে গরু কিনে নিতে পারছেন।”
“নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই”
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, “ঈদ করতে মানুষ বাড়ি যাচ্ছে, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়ে যাচ্ছে। তাই নিরাপত্তা নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তার কারণ নেই। সব বাহিনী সজাগ ও সক্রিয় রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মাশাল্লাহ খুব ভালো আছে।”
হাট পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট বলেই আমার কাছে মনে হয়েছে। আপনারাও নিশ্চয়ই দেখেছেন নিরাপত্তা বাহিনী কতটা তৎপর।”
যানজট নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ
কল্যাণপুর থেকে গাবতলী সড়কে যানজটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, এই রুটে যানজট একটু বেশি। তবে আমরা ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিচ্ছি, যাতে ঈদমুখী মানুষের চলাচলে সমস্যা না হয়।”
সরেজমিনে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথোপকথন
হাট পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টা বেপারী ও ক্রেতাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। পরে সাংবাদিকদের বলেন, “গরুর দাম যৌক্তিক, সরবরাহও ভালো, ক্রেতারা স্বস্তিতে গরু কিনতে পারছেন।”