চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ড (Thailand) থেকে দেশে ফিরেছেন আওয়ামী লীগ (Awami League) সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ (Abdul Hamid)। রবিবার (৮ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Hazrat Shahjalal International Airport)–এ পৌঁছান।
সাধারণ যাত্রীর মতো দেশে প্রত্যাবর্তন
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন রাগিব সামাদ নিশ্চিত করেছেন, আবদুল হামিদ সাধারণ যাত্রীর মতোই দেশে প্রবেশ করেন এবং কোনো প্রকার প্রটোকল গ্রহণ করেননি। হুইলচেয়ারে করে তাকে নামানো হয়। এ সময় তার মুখে মাস্ক ও পরনে ছিল সাধারণ পোশাক—শার্ট ও লুঙ্গি। তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ডা. নওশাদ খান।
সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার ঝড়
সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশে ফেরাকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা মন্তব্য দেখা যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, শেষ বয়সে বিদেশে নয়, দেশের মাটিতে মৃত্যুবরণ করতেই তিনি ফিরে এসেছেন। তবে এই বিষয়ে আবদুল হামিদ বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
হত্যা মামলার প্রসঙ্গ
গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলার অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে অনেকেই মনে করছেন, দেশে ফেরার সিদ্ধান্তটি ছিল ঝুঁকিপূর্ণ।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
২০১৩ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন আবদুল হামিদ। ওই সময় তিনি নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকারের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।
ব্যাংককে যাত্রা ও ফিরে আসা
উল্লেখ্য, গত ৮ মে রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ব্যাংকক (Bangkok) যান আবদুল হামিদ। এরপর তার বিদেশযাত্রা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়, যা বর্তমানে তার ফিরে আসা দিয়ে আরও গভীরতা পেয়েছে।