কোথায় গেলেন ‘পল্টি’ দেওয়া সেই আলোচিত নেতারা?

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হঠাৎ আলোচনায় উঠে আসা তৃণমূল বিএনপি (Trinamool BNP) ও বিএনএম (BNM)–এর নেতারা নির্বাচন শেষে রাজনীতি থেকে প্রায় গায়েব। এই দুই দল আলোচনায় আসলেও ভোটে সফলতা পাননি কোনো নেতা, বরং জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রায় সবারই।

নির্বাচনে ব্যর্থতা, পরে নিরবতা

তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী (Shamsher Mobin Chowdhury) সিলেট-৬ আসনে তৃতীয় হন মাত্র ১০,৮৫৮ ভোট পেয়ে। পরে একাধিক মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যান এবং ২৫ মার্চ মুক্তি পান।

দলের মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার (Taimur Alam Khondokar) নারায়ণগঞ্জ–১ আসনে মাত্র ৩,১৯০ ভোট পান। জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তিনি বলেন, “আমার চৌদ্দগুষ্টি বিএনপি, কিন্তু বিএনপি যখন মনে করে দরকার নেই, তখন আমিও নিজেকে দরকার মনে করি না।”

অন্তরা হুদা: বাবার আসনে ভোটের স্বপ্ন

অন্তরা হুদা (Antara Huda) মুন্সিগঞ্জ–১ আসনে নির্বাচন করে পান মাত্র ৬,৩৩৭ ভোট। বর্তমানে রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও ঘনিষ্ঠদের জানিয়েছেন, “বিএনপি থেকে বাবার আসনে ভোট করার স্বপ্ন এখনও দেখি।”

রাজনীতির ‘পল্টি’ ও ব্যর্থ পরিণতি

বিএনএম–এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মো. আবু জাফর, মহাসচিব ড. মুহাম্মদ শাহ্জাহান এবং আহ্বায়ক ড. আব্দুর রহমানেরও কেউই ভোটে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। জাফর নতুন দল জনতা পার্টি বাংলাদেশ গঠন করেছেন।

ব্যতিক্রম সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম

একমাত্র ব্যতিক্রম সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (Syed Muhammad Ibrahim)। তিনি চকরিয়াপেকুয়া আসনে ‘হাতঘড়ি’ প্রতীকে নির্বাচনে জয় পান। তার প্রাপ্ত ভোট ৮১,৯৫৫, যেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাফর আলম মাত্র ৫২,৯৮৬ ভোট পান।

ইব্রাহিম বলেন, “সব কিছু অবজারভ করছি। সামনে সময় এলে কথা বলব।”