লেখক ও গবেষক মেজর (অব.) রেজাউল করিম (Major (Retd.) Rezaul Karim) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রশ্ন তুলেছেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক (Bangladesh Bank) কি নিরাপদ হাতে আছে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি তুলে দেওয়া হয়েছে?”
দুবাইয়ে সম্পত্তির অভিযোগ
মেজর (অব.) রেজাউল করিম দাবি করেছেন, দুবাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর (Ahsan H. Mansur)–এর মেয়ের নামে ১৩.৫ মিলিয়ন দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৫ কোটি টাকা) মূল্যের একটি বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। তার প্রকাশিত তথ্যে বাড়িটির পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন, ক্রেতা ও বিক্রেতার নাম, প্রপার্টির অফিসিয়াল ডকুমেন্ট ও ফ্ল্যাটের ছবিও রয়েছে বলে জানান তিনি।
৫০০ কোটি টাকার অডিট জালিয়াতি
স্ট্যাটাসে রেজাউল করিম আরও উল্লেখ করেন, সম্প্রতি প্রিমিয়ার ব্যাংক (Premier Bank) কর্তৃপক্ষ গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট হেড অফিসে গিয়ে ৫০০ কোটি টাকার তছরুপের একটি বড় ঘটনা ধরে ফেলেছে। তার অভিযোগ, এই টাকা কিছু শীর্ষ কর্মকর্তার মাধ্যমে নগদে তুলে নিয়ে গোপনে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
তিনি লিখেছেন, “শোনা যাচ্ছে, এই বিপুল অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর অথবা কোনো উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে ব্যাংকের বোর্ড ভাঙা ঠেকানো হয়েছে।”
‘আন্ডারটেকিং’ স্বাক্ষর ও দুদকের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা
রেজাউল করিমের স্ট্যাটাস অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট অফিসারদের থেকে একটি ‘আন্ডারটেকিং’ স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে—আগামী জুন মাসের মধ্যে পুরো টাকা ফেরত না দিলে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন (Anti-Corruption Commission)–এ হস্তান্তর করা হবে।
তিনি শেষমেশ বলেন, “প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। শকিং!”
