রাজধানীর খিলক্ষেত (Khilkhet) থানাধীন উত্তর নামাপাড়া বোটঘাট এলাকার একটি ফ্ল্যাটে প্রশাসনের লোক পরিচয়ে একদল যুবক তল্লাশির নামে হামলা, লুটপাট ও হুমকি প্রদান করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ১০ জুন বিকেলে এই ঘটনায় নগদ অর্থ, ব্যাংক চেক, সিসিটিভি ও ডিভিআরসহ মূল্যবান মালামাল লুট করা হয়।
হামলা ও লুটপাটের বর্ণনা
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম জানান, বিকেল ৪টার দিকে তাদের বাড়ির ফটক বন্ধ পেয়ে পাশের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ হয়ে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে ৩–৪ জন যুবক। নিজেদের পুলিশ প্রশাসন (Law Enforcement) পরিচয় দিয়ে তারা ফ্ল্যাটে ঢুকে তল্লাশি চালায় ও এক আত্মীয়কে মারধর করে।
পরে তারা ৫ লাখ টাকা দাবি করে, প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ভয়ভীতির মুখে নগদ ৫০ হাজার টাকা, এটিএম কার্ডের মাধ্যমে তোলা আরও ৫০ হাজার এবং প্রাইম ব্যাংক (Prime Bank) এর ৪ লাখ টাকার চেক জোরপূর্বক আদায় করে। একইসঙ্গে তিনটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও নেয়।
ঘটনায় জড়িতদের পরিচয়
ভুক্তভোগীরা জানান, এই পরিকল্পনার মূল হোতা রূপগঞ্জ থানার (Rupganj Police Station) ডাকাতি মামলার আসামি শিমুল। তার নেতৃত্বে মুক্তার, খালেক, ইসমাইলসহ ২০ জনের একটি দল এই অপকর্মে জড়িত ছিল। হামলাকারীরা কখনো নিজেদের রাজনৈতিক দলের কর্মী, কখনো পুলিশ প্রশাসনের লোক হিসেবে পরিচয় দেয়।
ভিডিও প্রমাণ ও পুলিশের বক্তব্য
সিসিটিভি ভেঙে ফেলায় প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা করা হলেও গৃহকর্ত্রী গোপনে ১ মিনিট ২১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ ধারণ করতে সক্ষম হন। তাতে দেখা যায়, একজন যুবক তল্লাশির নির্দেশ দিচ্ছেন এবং অন্য দুইজন বিভিন্ন রুমে ঘোরাফেরা করছেন।
ঘটনার পর সহিদুল ইসলাম খিলক্ষেত থানা ও পূর্বাচল সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেন। ১১ জুন রাতে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়।
তদন্তে নেমেছে খিলক্ষেত থানা
খিলক্ষেত থানার ওসি কামাল উদ্দিন (Kamal Uddin) ও এসআই আব্দুল আজিজ (Abdul Aziz) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এখনও কাউকে আটক করা যায়নি।