বৃহত্তর সিলেট (Sylhet) অঞ্চলে আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আবারও মানবিক বার্তা পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (Bangladesh Army)। হবিগঞ্জ (Habiganj) জেলার বানিয়াচং আর্মি ক্যাম্প থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে ঈদের দিন ১২০ জন দুর্গত মানুষকে সহায়তা প্রদান করে সেনা সদস্যরা।
সুখে-দুঃখে পাশে থাকার বার্তা
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান (General Waker-Uz-Zaman) এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—এটি শুধু তাৎক্ষণিক সহায়তা নয়, বরং জনগণের প্রতি একটি ‘সফ্ট মেসেজ’ যে, সেনাবাহিনী সব সময় দেশের মানুষের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
পর্যটন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা
সিলেটের সীমান্তবর্তী অঞ্চল, বিশেষ করে ভোলাগঞ্জ (Volaganj) ও কোম্পানীগঞ্জ (Companiganj) এর পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে সেনাবাহিনীর নজরদারি ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতেও স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পেরেছেন পর্যটকরা।
কঠোর বার্তার বিপরীতে মানবিক রূপ
মাত্র কদিন আগেই সেনাবাহিনী মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে ‘হার্ড মেসেজ’ দিয়েছিল। ঈদকে কেন্দ্র করে মব জাস্টিস, ছিনতাই, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় দমনে নেওয়া পদক্ষেপ ছিল কার্যকর। সেনাসদর থেকে দেওয়া ব্রিফিংয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানানো হয়।
জেনারেল ওয়াকারের নেতৃত্বে নতুন নজির
২০২৪ সালের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সেনাবাহিনীর পেশাদার অবস্থান এবং কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না করেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় বাহিনীর প্রতি আস্থা বেড়েছে। সেনাপ্রধান ওয়াকারের নেতৃত্বে বাহিনী শুধুই নিরাপত্তা রক্ষায় নয়, বরং গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্যের সহায়ক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তিনি ক্ষমতার প্রতি লোভ দেখাননি—বরং সংকটে রক্তপাত রোধ করে দিয়েছেন।
ভবিষ্যতের জন্য বার্তা
গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেও সেনাবাহিনী কোনো অতি প্রচার করেনি। বরং চুপচাপ কাজ করে গেছে, নিরাপত্তা, সহায়তা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা দিয়ে। জনতার পাশে থেকে ভবিষ্যতের পথরেখা তৈরি করেছে সেনাবাহিনী, যা গবেষণার জন্যও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।