সব পথ হারিয়ে এখন তারেক রহমানের দ্বারস্থ হয়েছেন ড. ইউনূস: ফজলুর রহমান

বিএনপি (BNP) চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান (Fazlur Rahman) মন্তব্য করেছেন, সব পথ হারিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus) এখন তারেক রহমান (Tarique Rahman)এর কাছে গেছেন আলোচনার জন্য।

‘১২ ঘণ্টা ফ্লাইট চালিয়ে লন্ডন পর্যন্ত গেছেন’

১১ জুন কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা (Itna Upazila)র বড়িবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় (Boribari High School) মাঠে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ইউনূস সাহেব যখন বাংলাদেশের সমস্ত পথ হারাইয়া ফেলছেন, তখন উনি আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবের কাছে লন্ডন পর্যন্ত গেছেন।”

তারেক রহমানের নেতৃত্বে আস্থা

ফজলুর রহমান বলেন, “আমাদের নেতা তারেক রহমানের দেশ চালানোর ব্যাপারে সমস্ত ক্ষমতা আছে। আমি আগেই বলেছিলাম, বাপ ডাইকা ইলেকশন দেওন লাগবো। সাপও গর্তে যাওয়ার সময় সোজা হয়। ইউনূস সাহেব যিনি ১৫ দিন আগে বিএনপিকে এক ঘণ্টাও সময় দেননি, তিনিই এখন ১২ ঘণ্টার ফ্লাইটে লন্ডনে গেছেন কথা বলতে।”

বৈঠক ও আশাবাদ

তিনি বলেন, “শুক্রবার তারেক রহমান ও ইউনূস সাহেবের মধ্যে বৈঠক হবে বলে আশা করছি। ইউনূস সাহেব সৎভাবে আলোচনা করবেন এবং দেশের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছাবেন।”

বক্তব্যে নরম বার্তা

তিনি বলেন, “আপনি (ড. ইউনূস) আমার মুরুব্বি, আমি আশা করব আপনি দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেবেন। এখন বাংলাদেশের মানুষ শুধু ভোট দিতে চায়, আন্দোলন নয়।”

উপস্থিত নেতৃবৃন্দ

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বড়িবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান (Habibur Rahman)।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ফজলুর রহমানের স্ত্রী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা (Umme Kulsum Rekha), ইটনা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রতন (Aminul Islam Ratan), উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসএম কামাল হোসেন (SM Kamal Hossain), মিঠামইন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এএইচএম জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীর (AHM Zahidul Alam Jahangir), অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সায়েদ আহমেদ (Syed Sayed Ahmed), ইটনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন (Siddiquzzaman Thakur Swapon), সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মনির উদ্দিন (Monir Uddin), সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন মীর (Sohrab Hossain Mir), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ রহমান (Palash Rahman) এবং বড়িবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মাখন (Mohiuddin Makhon)।