পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (Syeda Rizwana Hasan) একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিগত জীবন, দাম্পত্য সম্পর্ক ও পারিবারিক মূল্যবোধ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমাদের পরিবারে ভালোবাসা আর সহানুভূতির জায়গাটা অনেক বড়।”
রাজনৈতিক নয়, তবে রাজনীতির খুব কাছাকাছি
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার জীবন রাজনৈতিক না হলেও, রাজনীতির খুব কাছাকাছি ছিলাম সবসময়। কারণ, আমার স্বামী একসময় মন্ত্রী ছিলেন।” তিনি বলেন, “আমাদের বাসায় কলিংবেল না চাপলেও কেউ কিছু বলে না। এই ধরনের ডায়লগ শোনা যায় না, যা আমাদের পরিবারের আন্তরিকতার পরিচায়ক।”
পারিবারিকভাবে আয়োজিত বিয়ে ও জীবনসঙ্গী প্রসঙ্গে মন্তব্য
বিয়ের স্মৃতি স্মরণ করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, “বিয়েটা একেবারেই পারিবারিকভাবে হয়েছে। উনি তখনো পেশাগত জীবনে ঢোকেননি বলে কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল, কিন্তু পরিবারের সবাই জানতেন এবং কারো আপত্তি ছিল না। আমাদের দাম্পত্য জীবন সুন্দরভাবে কেটেছে।”
স্বামীকে প্রশংসা করে তিনি বলেন, “তিনি একজন অসাধারণ মানুষ। একজন পিতা, পুত্র, জামাই— সব ক্ষেত্রেই প্রশংসনীয়। তার বিনয়, সহমর্মিতা আর ভদ্রতা মানুষের ভালো লাগে।”
কর্মব্যস্ততা, অতিথি ও একান্ত সময়ের অভাব
তিনি বলেন, “অনেক মানুষ আমাদের বাসায় আসেন। মাঝেমধ্যে একা থাকতে ইচ্ছে করে, কিন্তু তারপরও ভালো লাগে। ঈদের দিনগুলোতে আমরা মানুষের আগমন উপভোগ করি।”
পুরনো দিনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি জানান, “যখন আমি বেলাতে কাজ করতাম, তখনও সকাল সাড়ে ছয়টায় কেউ চাকরির সুপারিশ নিয়ে ফোন করতো। আমি তো সরকারের কেউ না, তবুও মানুষ ভরসা করত। এখনো করে। এতে আমি বিরক্ত হই না, কারণ এটি মানুষের বিশ্বাসের জায়গা।”
সন্তানদের মূল্যবোধ ও পারিবারিক সংস্কৃতি
তিনি জানান, তাদের তিন সন্তান। বড় মেয়ে পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে এসে অ্যাকাউন্টিং পেশায় যুক্ত হয়েছে, বড় ছেলে বাবার সঙ্গে কাজ করছে এবং ছোট ছেলে এখনো পড়াশোনায় ব্যস্ত।
তিনি বলেন, “আমাদের সন্তানরা কখনো অভিযোগ করে না যে আমরা ব্যস্ত থাকি বা বাসায় অতিথি আসে। বরং তারাও মানুষের সঙ্গে মিশতে ভালোবাসে। ছোট বাসা হলেও, তারা সহজেই শেয়ার করতে পারে। ওরা আমাদের মিস করে, কিন্তু সেটা দুঃখ হিসেবে নেয় না।”
সাক্ষাৎকারের শেষে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “হয়তো একটু কম সময় পাই একে অপরের জন্য, তবে ভালোবাসার কোনো ঘাটতি নেই।”
ভিডিও সাক্ষাৎকার: দেখুন এখানে