তারেক রহমান ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর মধ্যে একটি একান্ত বৈঠক প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন পিনাকী ভট্টাচার্য। ফেসবুক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, এই বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মোড় ও আঞ্চলিক সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রের ভূমিকা ও ভারতের পরাজয়
পিনাকীর ভাষ্য অনুযায়ী, একটি প্রগতিশীল মুসলিম দেশ এই বৈঠকের ফলাফলে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। ভারতের প্রভাব আপাতত প্রতিহত করা গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। ইরানে সাম্প্রতিক আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, ইসলামী বিশ্ব বাংলাদেশের কনসার্ন বুঝতে পারছে এবং পাশে দাঁড়িয়েছে।
ফিলিস্তিনের পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা
তিনি বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থানকে ফিলিস্তিনের মতোই ‘ঘেরাটোপে বন্দি’ হিসেবে বর্ণনা করেন। পাশাপাশি, ভারত-বাংলাদেশ আন্ডারগ্রাউন্ড সমঝোতাকে দেশের জন্য হুমকি বলেও মন্তব্য করেন।
বিএনপির মধ্যে বিভাজন ও ম্যাডামের ‘ইন্টারভেনশন’
পিনাকী আরও দাবি করেন, বিএনপি-র শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ড. ইউনূস-এর সরকারের দূরত্ব কমছে। তবে তিনি সতর্ক করেন, বিএনপির ভেতরেই ‘ভারতপন্থী’ একটি অংশ সক্রিয়। এ সময় তিনি ‘ম্যাডাম’ নামক একটি প্রভাবশালী নেত্রীর হস্তক্ষেপকেও গুরুত্ব দেন।
ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা
পিনাকীর মতে, ভারতের আধিপত্যবাদী শক্তিকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত না করা পর্যন্ত বাংলাদেশের শান্তি সম্ভব নয়। ‘আমরা আর ভারতের দাসত্ব করবো না’—এই বার্তায় তিনি জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা
তিনি সতর্ক করেন যে, অন্ধকার পুরোপুরি কাটেনি এবং ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায় নতুন ষড়যন্ত্র হতে পারে। তিনি বলেন, “ওয়াকার সাপ কী চাল চালবে জানি না, তাকে ইন্ডিয়া কী পানি পড়া দেবে সেটাও অনিশ্চিত।”