লন্ডনে হোটেল ভাড়ায় ড. ইউনূসের প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার ব্যয়: জুলকারনাইন সামির দাবি

বিশিষ্ট অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের ওরফে সামি (JulkarNain Sayeer) অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) ও তাঁর সফরসঙ্গীদের হোটেল খাতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

ব্যয়বহুল হোটেলে অবস্থান

সামির তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ জুন ২০২৫ তারিখে ড. ইউনূস ৩৯ সদস্যের একটি সফরদল নিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছান। সফর চলাকালে তাঁরা লন্ডনের (London) ব্যয়বহুল দ্য ডরচেস্টার হোটেল (The Dorchester Hotel)–এ চার রাত অবস্থান করেন। ওই হোটেলে ৩৭টি রুম রিজার্ভ করা হয়, এবং চার রাতের জন্য হোটেল খরচ হয় মোট ২১০,৩২৫ ব্রিটিশ পাউন্ড। প্রতি পাউন্ড ১৬৬ টাকা হিসেবে এর সমপরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূস যে কক্ষে অবস্থান করেন সেটি হোটেলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্যুট ছিল। এর প্রতিদিনের ভাড়া ৬,০৪৫ পাউন্ড, যা প্রায় ১০ লাখ টাকা। চার রাতের ভাড়া দাঁড়ায় ২৪,১৮০ পাউন্ড, অর্থাৎ প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

কী পেল বাংলাদেশ?

সামি তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “সরকারপ্রধান হিসেবে মর্যাদা ও নিরাপত্তার জন্য উন্নত মানের হোটেলে থাকা অস্বাভাবিক নয়। তবে প্রশ্ন হলো, এই সফর থেকে রাষ্ট্র কী লাভ করল?” তিনি জানান, এই সফরে ড. ইউনূস কোনো দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেননি। বরং তিনি ব্যক্তিগত একটি পুরস্কার গ্রহণ করেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman)–এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বিমানযাত্রা নিয়ে প্রশ্ন

জুলকারনাইন সামি আরও প্রশ্ন তোলেন, “বাংলাদেশ বিমানের সরাসরি ফ্লাইট থাকা সত্ত্বেও কেন ড. ইউনূস ও তাঁর সফরসঙ্গীরা এমিরেটস এয়ারলাইন্স (Emirates Airlines)–এর ফার্স্ট ও বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণ করলেন?” তাঁর মতে, সরকারপ্রধান হিসেবে রাষ্ট্রীয় ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ার ব্যবহার করা উচিত ছিল।

সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া

এই ব্যয়বহুল সফর ও এর উদ্দেশ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক ও সমালোচনা। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, ব্যক্তিগত পুরস্কার গ্রহণ ও রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে এত ব্যয় কতটা যুক্তিসঙ্গত।