শেখ হাসিনার বাবুর্চি মোশারফের ৪০০ কোটির সম্পদ, উঠছে জমি দখলের অভিযোগ

এক সময় ছিলেন পিয়ন, পরবর্তীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বাবুর্চি। সেই মোশারফ শেখ এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। অভিযোগ উঠেছে, তিনি ৪০০ কোটি টাকার মালিক এবং তার বিরুদ্ধে জমি দখল, হুমকি ও নিরীহ মানুষকে হয়রানির একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

রন্ধনশিল্প থেকে রাজসিক জীবন

মোশারফ শেখ (Mosharraf Sheikh) ফরিদপুরের (Faridpur) সালথা (Saltha) উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের (Bhawan Union) বড় কামদিয়া (Bor Kamdia) গ্রামের বাসিন্দা। একসময় দিনমজুর বাবার সন্তান হিসেবে হোটেলে বাবুর্চির কাজ করতেন তিনি। ১৯৯৬ সালে তিনি হাসিনার বাসার বাবুর্চি হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর থেকেই মোশারফের ভাগ্য বদলে যেতে থাকে।

বলা হয়ে থাকে, রন্ধনশৈলীতে পারদর্শিতার জন্য হাসিনার ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। বর্তমানে গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত মোশারফ গ্রামে ও শহরে গড়ে তুলেছেন একাধিক বাড়ি ও সম্পদ। ফরিদপুর শহরের হাড়োকান্দি (Harokandi) এবং রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে (Rajbari Road Mor) দুটি পাকা বাড়ি রয়েছে তার। এছাড়া ঢাকায় (Dhaka) ও ফরিদপুর শহরে রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট ও গাড়ি।

জমি দখল ও নির্যাতনের অভিযোগ

সম্প্রতি স্থানীয় কৃষক চাঁনমিয়া ফকির (Chanmia Fakir) ও তার ভাতিজা সেন্টু ফকির (Sentu Fakir) অভিযোগ করেছেন, মোশারফ তাদের ৪২ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করেছেন। ঘরের চালের উপর একটি নৌকা তৈরি করে টাঙিয়ে রাখার মতো দম্ভও দেখিয়েছেন তিনি। বাধা দিলে পরিবারকে মারধর ও এলাকা ছাড়ার হুমকি দেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. জামাল শেখ (Md. Jamal Sheikh) জানান, মোশারফ যেন আলাদিনের চেরাগ পেয়েছেন। সম্পদের পরিমাণ এবং আচরণে পরিবর্তন আসে বাবুর্চি চাকরির পর থেকেই।

মোশারফের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগ তদন্তে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সালথা থানার (Saltha Thana) অফিসার ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান (Md. Ataur Rahman) বলেন, “জমি দখলের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বর্তমানে মোশারফের মোবাইল বন্ধ এবং বাড়িতেও কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।