ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus) এবং তারেক রহমানের (Tarique Rahman) লন্ডন বৈঠকের যৌথ বিবৃতি নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শুধু বিএনপির (BNP) সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী (Jamaat-e-Islami) ও জাতীয় নাগরিক পার্টি – এনসিপি (National Citizens’ Party – NCP)।
সর্বদলীয় আলোচনা না করে সময় নির্ধারণে আপত্তি
জামায়াত ও এনসিপি মনে করছে, বিএনপির একক আলোচনার মাধ্যমে রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অবমূল্যায়নের বার্তা দেয়। জামায়াতের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “ঢাকায় সর্বদলীয় বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিলে তা রাজনৈতিকভাবে আরও গ্রহণযোগ্য হতো।”
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (Islami Andolan Bangladesh) যৌথ বিবৃতিকে সমঝোতার পথে অগ্রগতি হিসেবে দেখলেও, এতে ‘সরকার-বিএনপির সমশক্তি’ বোঝানোয় বিরক্তি প্রকাশ করেছে। দলটির মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, “তারেক রহমান রাজনীতির একক প্রতিনিধি নন, তাই সরকারপ্রধানের সঙ্গে সংলাপকে যৌথ বিবৃতি বলা বিস্ময়কর।”
এনসিপির সমালোচনা: সরকার বিএনপির এক্সটেনশন
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং আরিফুল ইসলাম আদীব নেতৃত্বাধীন এনসিপি বলছে, “সরকার এখন বিএনপির এক্সটেনশনে পরিণত হয়েছে।” এনসিপির দাবি, মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও বিচারের রোডম্যাপের আগেই নির্বাচনের ঘোষণা জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
অন্যদের সমর্থন
বিএনপির সমমনা দলগুলো যৌথ বিবৃতিকে ইতিবাচক বলছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জেএসডি (JSD), এবি পার্টি (AB Party), গণসংহতি আন্দোলন (Ganosamhati Andolon), ১২ দলীয় জোট (12-Party Alliance) এবং বাংলাদেশ এলডিপি (Bangladesh LDP) বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে।
মাহমুদুর রহমান মান্না (Mahmudur Rahman Manna), মজিবুর রহমান মঞ্জু (Mojibur Rahman Monju), সাইফুল হক (Saiful Haque) ও জোনায়েদ সাকি (Zonayed Saki) পৃথকভাবে বলেছেন, বিচার ও সংস্কারে অগ্রগতি গণতান্ত্রিক সম্ভাবনা তৈরি করবে।
অন্যান্য প্রতিক্রিয়া
খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ও সিপিবি (CPB) থেকে এসেছে ভিন্ন ভিন্ন মত। রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “বিচারের অগ্রগতি ও সংস্কার করেই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব।”