নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টা মামলায় খুলনার সাবেক ওসি হাসান আল মামুন কারাগারে

নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টা মামলায় খুলনা সদর থানা (Khulna Sadar Thana)‌র সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুন (Hasan Al Mamun)‌কে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালত (Khulna Metropolitan Sessions Judge Court)। ১৫ জুন রবিবার দুপুরে বিচারক মো. শরীফ হোসেন হায়দার এই আদেশ দেন।

মামলার পটভূমি

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি খুলনা (Khulna) শহরের কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি (BNP)‌র দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলের একটি সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জের সময় ওসি হাসান আল মামুন সরাসরি ফখরুল আলম (Fakhrul Alam)‌কে মারধর করেন। এতে ফখরুল আলমের একটি চোখ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায়।

এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট ফখরুল আলম আদালতে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

আদালতে আত্মসমর্পণ ও জামিন প্রত্যাখ্যান

খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালত‌ের পাবলিক প্রসিকিউটর এ কে এম শহিদুল আলম (A K M Shahidul Alam) জানান, মামলাটিতে হাসান আল মামুন উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে তিনি রবিবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা

হাসান আল মামুনের আত্মসমর্পণের খবরে বিএনপি নেতাকর্মীরা আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন এবং তাকে উদ্দেশ্য করে পচা ডিম ও আম ছুঁড়ে মারেন। এ সময় তারা তার শাস্তির দাবিতে স্লোগানও দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আদালত প্রাঙ্গণে সেনা, নৌ ও পুলিশ সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়।

মামলার পুনরাবৃত্তি

ঘটনার পুনরাবৃত্তি করে বলা হয়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারির ঘটনায় সরাসরি মারধরের ফলে ফখরুল আলমের চোখ নষ্ট হয় এবং এর দুই বছর পর ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট তিনি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা গ্রহণের পর উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন, যা শেষ হলে তিনি রবিবার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।