বাবার স্মৃতিচারণে শামা ওবায়েদ: “প্রতিক্ষণেই বাবার শূন্যতা অনুভব করি”

কে এম ওবায়দুর রহমান (KM Obaidur Rahman) ছিলেন বাংলাদেশের একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিক, সাবেক মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (Bangladesh Nationalist Party) – বিএনপির মহাসচিব। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের নেতা এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অংশগ্রহণকারী এই রাজনীতিক ২০০৭ সালের ২১ মার্চ ইন্তেকাল করেন।

বিশ্ব ‘বাবা দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা মেইলের সঙ্গে স্মৃতিচারণ করেন তাঁর একমাত্র কন্যা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ (Shama Obaid)।

বাবার আদর্শ ও প্রভাব

শামা ওবায়েদ জানান, “আমার বাবা আমার আদর্শ। তার কাছ থেকে শিখেছি কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়, রাজনীতিতে নিষ্ঠা রাখতে হয়।” তিনি আরও বলেন, “বাবা ছিলেন খুব সিম্পল, গণতন্ত্রমনা, নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্য কাজ করতেন, কখনো বদলে কিছু চাইতেন না।”

বাবার শূন্যতা ও স্মৃতির ছায়া

তিনি বলেন, “বাবার শূন্যতা প্রতিক্ষণেই অনুভব করি। বাবা বেঁচে থাকলে দেশের জন্য আরও অনেক কিছু করতে পারতেন। তার মৃত্যুতে নির্বাচনী এলাকার মানুষও বলেছিলেন, মাথার ওপর বটগাছ সরে গেছে।”

রাজনীতিতে বাবার উপস্থিতি ও পথপ্রদর্শক হিসেবে ভূমিকা

শামা বলেন, “আমি যেহেতু একমাত্র সন্তান, বাবার অনুপস্থিতি আমার জীবনে অনেক ফারাক তৈরি করেছে। বাবা থাকলে রাজনীতিতেও তিনি আমার পথপ্রদর্শক হতেন।”

শৈশবের মধুর স্মৃতি

তিনি বলেন, “বাবার ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পরও আমরা মা স্কুলে থাকলে লুকিয়ে ঝুড়ি ভরে আম খেতাম। এটা এখনও মনে পড়ে।” বাবার জেলজীবনের কথাও স্মরণ করেন তিনি, “বাবা সব আমলেই জেল খেটেছেন। তবুও তিনি আমাদের সান্ত্বনা দিতেন।”

বাবার স্মৃতি ধরে রাখার প্রয়াস

শামা জানান, “বাবা কোরবানির ঈদ গ্রামে করতেন। আমরাও প্রতিবছর গ্রামে ঈদ করার চেষ্টা করি, এবারও করেছি।” তিনি বলেন, “সন্তান হিসেবে বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন।”