বিএনপি (BNP)’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman) আগামী ৫ আগস্টের আগেই দেশে ফিরতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তার প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা (Dhaka)য় অন্তত ১০ লাখ মানুষ জমায়েত হতে পারে বলে জানিয়েছে বিএনপি।
বৈঠকের পর ঘোষণা
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী (Amir Khasru Mahmud Chowdhury) লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথে কোনো আইনি বাধা নেই। তিনি যখন ইচ্ছা তখন ফিরতে পারেন এবং সময়মতো এ সিদ্ধান্ত নেবেন।
লন্ডন বৈঠকের প্রেক্ষাপট
শুক্রবার লন্ডনে পার্ক লেনের একটি হোটেলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus) ও তারেক রহমানের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি সূত্রে জানা যায়, বৈঠকটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে এবং এর পর থেকেই দলের মধ্যে আনন্দ ও উৎসাহের ঢেউ বইছে।
৫ আগস্টের আগেই প্রত্যাবর্তন
বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, তারেক রহমান ৫ আগস্টের আগেই অথবা জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই দেশে ফিরবেন। তার আগমনে রাজধানী ঢাকায় বিপুল জমায়েতের সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় এসে জনস্রোত তৈরি করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রশংসায় ভাসছেন তারেক রহমান
লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ড. ইউনূসকে দেশের নির্বাচনি ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট যথাযথভাবে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয়েছেন তারেক রহমান। এই দক্ষ নেতৃত্বের কারণে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছেন। অনেকেই ইতিবাচক মন্তব্যসহ তার পক্ষে নানা পোস্ট দিচ্ছেন।
রাজনৈতিক উত্তাপের প্রশমনে লন্ডন বৈঠক
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, লন্ডন বৈঠকের মাধ্যমে বিএনপি ও সরকারপক্ষের মধ্যে যে বৈরিতা তৈরি হয়েছিল, বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন (Ishraq Hossain)–এর শপথ ইস্যু এবং নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে—তা অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে। এক বৈঠকেই রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও উত্তাপ কমে আসে।
জাতীয় নির্বাচনমুখী পরিবেশ
বিশ্লেষকদের মতে, বৈঠকের সফলতায় শুধু রাজনৈতিক সংকট কাটেনি, বরং সমগ্র দেশ এখন নির্বাচনি প্রস্তুতির দিকে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এখন থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে নামতে শুরু করেছেন। শুধু বিএনপি নয়, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলের নেতারাও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নির্বাচনি হিসাব-নিকাশ, আসন ভাগাভাগি এবং কৌশলগত আলোচনা এখন পুরোদমে চলছে।
ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজয়
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে, ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য এক ধাক্কা হয়ে এসেছে। অনেকেই মন্তব্য করছেন, লন্ডন বৈঠক ছিল ষড়যন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক।
