‘ঘুষ না দিলে ছুটি মেলে না’—কুয়েত বাংলাদেশ দূতাবাসে গণশুনানিতে প্রবাসীদের করুণ অভিযোগ

কুয়েত (Kuwait)-এ অবস্থানরত প্রায় ৩ লাখ বাংলাদেশি (Bangladeshi) প্রবাসীর একটি বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরে নানা হয়রানি ও দুর্নীতির অভিযোগ করে আসছেন। তাঁদের অধিকাংশই ক্লিনিং কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন, যাঁদের মাসিক আয় মাত্র ৭৫ কুয়েতি দিনার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ থেকে ২৬ হাজার টাকা।

শ্রমিকদের অভিযোগ, ছুটি কিংবা দেশে ফেরার অনুমতি নিতে হলে ঘুষ দিতে হয়, এমনকি পাসপোর্ট নবায়নেও তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেকেই কর্মস্থলে ম্যানেজার বা সুপারভাইজারদের কাছ থেকে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ দূতাবাস (Bangladesh Embassy) প্রতি মাসে একটি গণশুনানির আয়োজন করে, যেখানে প্রবাসীদের সমস্যাগুলো সরাসরি শোনা হয় এবং সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এই শুনানির উদ্দেশ্য হলো দূতাবাসের সেবা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং প্রবাসীদের পাসপোর্ট ও কনস্যুলার সেবার মানোন্নয়ন করা।

সর্বশেষ মাসিক গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয় ১৫ জুন ২০২৫, রোববার, দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে, কুয়েত সিটির মিশর স্ট্রিট এলাকার বাংলাদেশ দূতাবাসের হলরুমে। এসময় দূতাবাসে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন (Major General Syed Tariq Hossain) (ওএসপি, এডব্লিউসি, পিএসসি) এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা প্রবাসীদের নানা প্রশ্ন ও অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শুনে তা সমাধানের আশ্বাস দেন।

রাষ্ট্রদূত জানান, প্রবাসীদের সুরক্ষা ও অধিকার রক্ষায় দূতাবাস সবসময় দায়বদ্ধ এবং ভবিষ্যতেও প্রবাসীদের পাশে থেকে সেবা উন্নয়নে দূতাবাস কাজ করবে।