নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূসের কাছে ক্ষমা চাওয়ার ঘোষণা নুরের: ‘পরিবেশ তৈরি না হলে ভোট নয়’

গণঅধিকার পরিষদ (Gonoadhikar Parishad) সভাপতি নুরুল হক নুর (Nurul Haque Nur) বলেছেন, দেশে নির্বাচন আয়োজনের পূর্বশর্ত হলো রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের নিশ্চয়তা। তিনি বলেন, “নির্বাচনের পরিবেশ না থাকলে নির্বাচন নয়, এমনকি এজন্য প্রয়োজনে ড. ইউনূস (Dr. Yunus) স্যারের কাছে ক্ষমাও চাইবো।”

রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনের দাবি

সোমবার (১৬ জুন) রাতে পটুয়াখালী (Patuakhali) শহরের নতুন বাজারে দলের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় নুরুল হক নুর বলেন, এখনো রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন হয়নি। তিনি দাবি করেন, “বিএনপি (BNP) ছাড়া অন্য কোনও দল নির্বাচনের ব্যাপারে শক্ত অবস্থানে নেই। বিএনপির তৃণমূল কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমি এলাকায় এসে বুঝতে পেরেছি।”

নুর আরও বলেন, তিনি ঢাকায় ফিরে ড. ইউনূসের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলবেন, সঠিক পরিবেশ না থাকলে নির্বাচন না দিতে। নির্বাচনের আগে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।

আগাম প্রার্থী ঘোষণা

সভায় শহীদুল ইসলাম ফাহিম (Shahidul Islam Fahim)-কে পটুয়াখালী-১ আসনে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন নুরুল হক নুর। সভায় কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নুর বলেন, “কেন্দ্র দখল করে এমপি বা চেয়ারম্যান হওয়ার যুগ শেষ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হবে না।”

গলাচিপায় অবরুদ্ধের অভিযোগ

প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন রাতে গলাচিপা (Galachipa) উপজেলার বকুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া (Patabunia) এলাকায় এক স্মরণ সভা শেষে ফেরার পথে নুরুল হক নুরকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা বটতলা বাজারে তাদের পথরোধ করে গাছ ফেলে, রড ও রামদা নিয়ে আক্রমণ চালায়। এতে স্থানীয় কয়েকজনকে মারধর ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পর রাত ১টার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন নুরের সহকর্মীরা।